শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিজড়াদের কর্মসংস্থানে প্রশংসনীয় উদ্যোগ

তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থানে ইজিবাইক দিলেন শেরপুর জেলা প্রশাসক। গত ৭ এপ্রিল দুপুরে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজকল্যাণ।

পরিষদের তহবিল থেকে দুই লাখ টাকায় কেনা এ ইজিবাইক জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে আন্ধারিয়া তৃতীয় লিঙ্গ গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারি হিজড়াদের প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকারের হাতে ইজিবাইকটির চাবি হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদা ইয়াসমিন, সদর ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌস, অ্যাসিল্যান্ড তনিমা আফ্রাদ, সমাজসেবা বিভাগের রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, কবি হাসানুজ্জামান সরাফত, জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার প্রমুখ।

এসময় সদর উপজেলার ইউএনও হিজড়াদের কল্যাণের জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার বলেন, আমরা আর ভিক্ষাবৃত্তি, চাঁদাবাজি করবো না। নিজেরা কায়িক উপার্জন করে, আয় করে সমাজে মাথা উঁচু করে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে বাঁচতে চাই। সরকারের গুচ্ছগ্রাম আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এখন নিজেরা নানা আয় বর্ধনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে উপার্জন  করার চেষ্টা করছি।

জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, ‘আবাসনে বসবাসকারী হিজড়াদের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা যাতে আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারে- এজন্য তাদের ব্লক-বাটিক-সেলাই প্রশিক্ষণ, হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু পালন, মাছ চাষসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, অনুদান ও ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এবার সমাজকল্যাণ তহবিল থেকে একটি ইজিবাইক প্রদান করা হলো। আশা করছি, এর মধ্য দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর মৌজাধীন আন্ধারিয়া সুতিরপাড় এলাকায় ২ একর সরকারি খাসজমিতে হিজড়াদের জন্য গড়ে ওঠেছে ‘স্বপ্নের ঠিাকানা’ গুচ্ছগ্রাম। সেই গুচ্ছগ্রামে জেলার ৪০ জন হিজড়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। গুচ্ছগ্রামটি হিজড়াদের নতুন স্বপ্নের ডানা মেলতে সহায়তা করছে। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগী হয়েছে শেরপুরের হিজড়ারা। কেউ কেউ হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু পালন করছেন, কেউ বা নিয়োজিত হয়েছেন মাছ চাষে, কেউ চা-পানের দোকান দিয়েছেন। এভাবেই এগিয়ে চলছে তাদের জীবনধারা।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য

সংবাদটি শেয়ার করুন