শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাহরি-ইফতারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

সাহরি-ইফতারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

রমজানের শুরু থেকেই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেহরি, ইফতার ও তারাবির নামাজের সময়ে লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।

উপজেলার সদর, জালালপুর, লোহাজুড়ি, মসুয়া, বনগ্রাম, সহস্রাম ধুলদিয়া,  চান্দপুর, আচমিতা, করগাঁও  ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম মহল্লায় লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, ইফতার ও তারাবির নামাজ পর্যন্ত অনেক স্থানে বিদ্যুৎ থাকে না। আবার কিছু স্থানে বিদ্যুৎ এসেই চলে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যুতের এমন আচরণে রাতের বেলা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না গ্রাহকরা। শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছেন না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কল-কারখানা, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিংসেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালি কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। সন্ধ্যার পর পরই উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গ্রাম ও হাটবাজারে বিদ্যুৎ না থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। দিন-রাত যে কতবার বিদ্যুৎ আসে যায় তা হিসেব পাওয়া যায় না।

কটিয়াদী সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সারা দিনে বিদ্যুৎ কতবার আসে যায় তার হিসেব নেই। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকাতে বাজারে মানুষই থাকে না। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই। চরঝাকালিয়া গ্রামের আনোয়ার উদ্দিন বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। আবার তারাবি নামাজের আযান দিলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। মাঝরাতে আসলেও আবার সেহরীর আগে চলে যায়।

আরও পড়ুনঃ  উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দিঘলিয়া

ফেকামারা মসজিদের মুসল্লী ওমর আলী বলেন, রাতে তারাবির নামাজে দাঁড়ালে গরমে শরীর দিয়ে ঘাম পড়ে। অথচ রমজান মাসে নিয়মিত কারেন্ট থাকার কথা কিন্তু একদিনও ঠিকমতো পেলাম না।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন কটিয়াদী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নাইমুল আহসান বলেন, গ্যাস সংকটে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। বিধায় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎপ্রাপ্ত না হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে। রমজানে এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ^র পাল বলেন, আমরা কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অনুরোধ করেছি যেন সেহরি ও ইফতার সময়ে বিদ্যুৎ সচল থাকে। তারা আশ্বস্ত করেছে, সেহরি ও ইফতারের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন