রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবারের ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে

পরিবারের ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে

নওগাঁর মান্দায় পরিবারের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন বর। আর হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ের যাত্রা দেখতে সকাল থেকে আশেপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো উৎসক জনতার ভিড় ছিলো লক্ষনীয়। গত ২ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের মান্দা এস.সি মডেল  পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়  এান্ড কলেজ  মাঠে হেলিকপ্টারটি ল্যান্ড করে।

এদিন দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তাসলিমা আক্তার তমা (১৮)।

অপরদিকে নওগাঁর মান্দা মান্দা সদর ইউনিয়নের মেরুল্যা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে আবু আহম্মেদ আশরাফ ওরফে সবুজ (৩০)। তাদের বিয়ের  বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, আবু আহম্মেদ আশরাফ ওরফে সবুজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে বিবিএ এবং এমবিএ পাশ করার পর ইফাত (মাল্টিন্যাশনাল) কোম্পানীতে চাকরি পান। বর্তমানে তিনি ইফাত (মাল্টিন্যাশনাল) কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত আছেন। অন্যদিকে তাসলিমা আক্তার তমা মান্দা মমিন শাহানা সরকারি কলেজে এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের কাবিন নির্ধারিত হয় ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এসময় দু’পক্ষের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। নব বিবাহিত উভয় দম্পতিরা তাদের দাম্পত্য জীবনের জন্য সকলের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।

বরের পিতা আনিছুর রহমান পেশায় একজন কৃষক। অপরদিকে মেয়ের বাবা তমিজ উদ্দিন একজন ব্যাটেলিয়ন। বরের বাবা আনিছুর রহমান বলেন, আমাদের পরিবারের ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানোর। তাদের সে ইচ্ছে পূরণে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার ভাড়া নেয়া হয়। এদিন দুপুরে বর নিয়ে কনের বাড়ি যাওয়া এবং বিয়ের কাজ শেষে আবার নিয়ে আসা হয়।

আরও পড়ুনঃ  কালীগঞ্জে ৪১তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্তদের সাথে প্রশাসনের শুভেচ্ছা বিনিময়

তৌহিদুল ইসলাম  বাদল  নামে একজন বরের বন্ধু বলেন, আমাদের গ্রামে তো দুরের কথা, আশেপাশের কোনো গ্রামে কখনোই হেলিকপ্টার নামেনি। তাই হেলিকপ্টার দেখতে আজ সকাল থেকে বরের বাড়ির পাশে মান্দা এস.সি মডেল  পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ  মাঠে এবং কনের বাড়ির পাশে পাঁঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাজার- হাজার উৎসুক জনতা অপেক্ষা করেন। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটে দুপুরের দিকে এবং সন্ধ্যার আগেই আবারো হেলিকপ্টারে চড়ে বউ নিয়ে আসা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন