শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনবলসংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনবল সংকটের কারনে স্বাস্থ্যসেবা দিতে  হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। ২০০৮ সালের পয়লা জুলাই হাসপাতালটি ৫শ’ শয্যায় উন্নীত করার জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয়। অথচ আজও হাসপাতালটি অবকাঠামো এবং জনবলে ৫শ’ শয্যায় উন্নীত হয়নি। বর্তমানে ৪৬৪ জনের স্থলে ২৮৬ জন চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে ১০৮টি। তবে অনুমোদিত জনবল নিশ্চিত করা গেলে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব জানান হাসপতালের পরিচালক।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা হয়। অথচ এখানে চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল নেই। রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সংকট। এছাড়া কতিপয় চিকিৎসকের দুর্ব্যবহার ও অবহেলার কারণে হতাশ রোগীরা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর ১৯৮৯ সালের ১৮ জানুয়ারিতে নগরীর বয়রা এলাকায় ৪৩ দশমিক ২৫ একর জমির উপর খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ৩ বছর পর ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার সময় আধুনিক বলা হলেও অদ্যাবধি অবকাঠামোগত ভাবে অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে। হাসপতালে রোগীদের চিকিৎসার জন্য বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনি এন্ড অবস, লেবার ইউনিট, মেডিসিন, সি.সি. ইউ সার্জারী, অর্থোপেডিক, শিশু বিভাগ, ইএনটি, গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজি ও অফথালমোনাজী, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিসহ সর্বমোট ৩২টি ওয়ার্ড রয়েছে।

আউটডোরে যে সকল বিভাগ রয়েছে তা হলো, গাইনী, ভায়া, আর এইচ স্টেপ, পরিবার পরিকল্পনা, মেডিসিন পুরুষ ও মহিলা, সার্জারি পুরুষ ও মহিলা, শিশু, চক্ষু, ডেন্টাল, মানসিক, ইএনটি, চর্ম ও যৌন এবং যুববান্ধবসহ ২২ টি বিভাগ চালু রয়েছে। 

আরও পড়ুনঃ  বড় প্রকল্পে বদলে যাবে নওগাঁর সড়ক

হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান জানান, হাসপাতলে চালু হয়েছে চর্ম ও যৌন রোগীদের ইউনিট।  এ ইউনিট চালু করায় এখন থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভর্তিরেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় দেড় শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয় এ বিভাগে।

পাশাপশি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, আর এইচ স্টেপ/ বেনস ফেয়ার, ভায়া প্রোগ্রাম, ডক্টর্স কর্ণার, সমাজসেবা, প্রিজন সেবা, শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি, ইএমওসিইপিআই কর্মসূচি, ফিস্টুলা, রেফারেল সিস্টেম, ব্লাড ব্যাংক  ও যুববান্ধব চিকিৎসা সেবা।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান জানান, করোনার কারনে অতিরিক্ত ২শ’ বেডের ইউনিট চালু করাহয়। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা -কর্মচারীদের শূণ্যপদ পূরণ হলে চিকিৎসার মান আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে অচিরেই শূন্যপদ পূরণ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন