রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর ক্ষমতায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ

নারীর ক্ষমতায়নে বহুমুখী পদক্ষেপ
  • বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে আইনমন্ত্রী

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশে নারীদের বিভিন্ন ধরণের পারিবারিক সহিংসতার নানা দিক তুলে ধরে একটি বই প্রকাশ করা হয়। এতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সহিংসতার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যে কোনো পরিস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থাসহ সকল সেবা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখা অপরিহার্য। এছাড়া নারীরা, বিশেষত যারা মহামারীর সময়ে পারিবারিক এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের সহায়তা প্রদানের উপায় বের করা খুবই জরুরি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রেডিসান হোটেলে বাংলাদেশে জার্মান উন্নয়ন সংস্থার ৫০ বছর এবং ‘ইন সার্চ অভ জাস্টিস: আনটোল্ড টেলস অভ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স সারভাইভারস’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন, ২০০০; পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ও পারিবারিক সহিংসতা বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার এবং একটি ব্যাপক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

বক্তৃতায় জার্মানির সাথে সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, ২০২২ একটি বিশেষ বছর কারণ আমরা বাংলাদেশ এবং জার্মানির মধ্যে বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি একটি। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের জন্য জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জার্মানি একটি প্রধান অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দেশটি আমাদের অগ্রাধিকার খাত যেমন প্রশাসন, জলবায়ু, জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার তার বক্তব্যে বলেন, যারা এই হৃদয়গ্রাহী, চিত্তাকর্ষক ও কষ্টকর গল্পগুলো আমাদের বলেছে, এই বইটি শুধুমাত্র তাদের জন্য নয়। তিনি জানান,‘যারা কম সুবিধাপ্রাপ্ত, নির্যাতিত ও এখনও দুঃসময়ে দিনযাপন করছে, বইটি তাদের সকলের অবস্থার প্রতিফলন।’

অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের বইটি থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনান। উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জি আই জেড বাংলাদেশের রুল অব ল প্রোগ্রামের  হেড অব প্রোগ্রাম, প্রমিতাসেন গুপ্ত এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন। অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  ইভিএমে মত পাল্টালেন সিইসি

সংবাদটি শেয়ার করুন