ঢাকা | শনিবার
১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইভিএমে মত পাল্টালেন সিইসি

ইভিএমে মত পাল্টালেন সিইসি

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠছে। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে অনড় থাকলেও এবার ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইভিএম নিয়ে ঐকমত্য তৈরির অবস্থা নেই। এ বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা হচ্ছে গণমাধ্যমে।

গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ১৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইভিএম বিষয়ক এক মতবিনিময় সভার শুভেচ্ছা বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। সিইসি বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা ইভিএমে নির্বাচন করেছি। রাজনৈতিক মহল ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ইভিএম নিয়ে ঐকমত্য পাওয়ার ‘ইয়ে’ (অবস্থা) নেই। যেহেতু আমরা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি, সেহেতু আমাদের ধারণা নিতে হবে। আপনাদের মতামত স্বাধীন হবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা কারো ওপর কোনো মতামত চাপিয়ে দিতে পারি না, চাপিয়ে দেব না। সে ধরনের কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়া। আপনাদের প্রশ্ন থাকলে সেগুলো উপস্থাপন করবেন। আমাদের যারা ইভিএম সম্পর্কে বোঝেন, তারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাচাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে ইসি। এজন্য তিন ধাপে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এছাড়া নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নিবন্ধিত বাকি দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে। দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম/প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ জুন এবং শেষ ধাপে ২৮ জুন একইভাবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবে ইসি। ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এ মেশিন ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন হবে।

যেসব দল আমন্ত্রণ পেয়েছে- জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

সংবাদটি শেয়ার করুন