মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অস্বাভাবিক পরিবেশে টিকে থাকার সিনেমা

বর্তমানে সাড়া বিশ্ববাসী একটি সংকটাপন্ন সময় পাড় করছে। সংকটাপন্ন এই সময়কে মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো পৃথিবীতে। সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কায় নেওয়া হচ্ছে নানাবিধ প্রতিরোধী পদক্ষেপ। বারবার সতর্ক করা হচ্ছে, বাড়িতে থাকতে। বিনা কাজে, এমনকি খুব বেশি জরুরি না হলে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। আর সেটা কেবল মাত্র ভাইরাস সংক্রমিত না হওয়ার জন্য। সময়টা ঘরে থাকার, মনকে শক্ত রাখার। এই শক্ত থাকার চেষ্টাকে কিছুটা শাণিত করবে কয়েকটি সিনেমা।

শুরুতেই ধরা যাক ‘ক্যাস্ট অ্যাওয়ে’র কথা। সিনেমার হিরোর তো মরেই যাওয়ার কথা ছিল। বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া অনেক কঠিন। তারপরেও কিছু অলৌকিক ঘটনা পৃথিবীতেই ঘটে। অনেক টা সে রকমই ঘটেছিল চাক নোল্যান্ড নামের মার্কিন এক কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির প্রতিনিধির জীবনে। নতুন একটা জীবন পেলে সেটাকে আঁকড়ে ধরতে কিনা করে মানুষ। রবিনসন ক্রুসোর মতো একটা নির্জন দ্বীপে দীর্ঘদিন নিঃসঙ্গ কাটাতে হয়েছিল নোল্যান্ডকে।

করোনাভাইরাসের এই দিনগুলোতে আমাদের প্রত্যেকের ‘ক্যাস্ট অ্যাওয়ে’ সিনেমার নোল্যান্ড হয়ে যেতে হবে, যদি বাঁচতে হয়। কপাল ভালো হলে নোল্যান্ডের মতো নিঃসঙ্গ দ্বীপ থেকে আবার ফিরতে পারব সঙ্গী–সাথি পরিবেষ্টিত জীবনে। আজকের সিনেমাগুলো টিকে থাকার গল্প নিয়ে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালের ছবি ‘অ্যালাইভ’, ২০১২ সালের ‘কন–টিকি’ এবং ২০১০ সালের ছবি ‘১২৭ আওয়ার্স’। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার কাহিনি নিয়ে এ সিনেমাগুলো হয়তো আমাদের মনোবল খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। আতঙ্ক থেকে দিতে পারে খানিকটা স্বস্তি। স্বস্তির সবচেয়ে বড় জায়গাটি হচ্ছে, আমাদের থাকতে হচ্ছে না বরফ আচ্ছাদিত কোনো অচেনা জায়গায় বা কোনো জঙ্গলে খাদ্যহীন।

আরও পড়ুনঃ  ৩২ বছর পর এক সিনেমায় অমিতাভ-রজনীকান্ত

বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে ২০১৫ সালে নির্মিত হয় সিনেমা ‘দ্য মার্টেইন’ এবং ২০০৭ সালে ‘আই অ্যাম লিজেন্ড’। যে সিনেমাগুলোর কথা বলা হলো, এগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর কেউ জঙ্গলে, কেউ মঙ্গলে, কেউ বরফের দেশে, আবার কেউ সাগরের জলে লড়াই করে টিকেছে। এই ছবিগুলো নিঃসন্দেহে মানুষের আত্মবিশ্বাসকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। বাড়ির এফটিপি সার্ভার বা সিনেমার ওয়েব সাইটগুলোতে বিনা মূল্যেই সিনেমাগুলো দেখে নিতে পারবেন যে কেউ। এ ছাড়া রয়েছে নেটফ্লিক্সের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। আর সেসব জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে না পারলে শেষ পর্যন্ত আছে বৈধ ডাউনলোডার!

ওপরের ছবিগুলো দেখা হয়ে গেলে দেখে নেওয়া যেতে পারে ‘এইট বিলো’, ‘টাচিং দ্য ভয়েড’, ‘আর্কটিক’, ‘দ্য রেভন্যান্ট’, ‘ইন দ্য হার্ট অব দ্য সি’, ‘ট্র্যাপড’ ছবিগুলো। এ রকম ছবি কিন্তু আরও আছে। আপাতত এ কয়েকটি দেখুন আর প্রার্থনা করুন, করোনা যেন করুণা করে হলেও মুক্তি দেয় মানবজাতিকে।

 

আনন্দবাজার/এফআই

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন