মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ দিনে ৩ শিশুর মৃতু্য

গাইবান্ধায় বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া

গাইবান্ধায় বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া

গাইবান্ধায় শীত জনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক মানু্রেষর সংখ্যা বাড়ছে। গেলো কয়েকদিনের ঠান্ডায় শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ২ জন। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ দিনে ৩ শিশুর মৃতু্য হয়েছে। ২ শ ৫০ বেডের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।

গত ৪ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে শীত জনিত রোগের চিকিৎসা নিয়েছে ২৬২ জন,৫ ডিসেম্বর ২৪১ জন,৬ ডিসেম্বর ২৬২ জন,৭ ডিসেম্বর ২৪৫ জন,৮ ডিসেম্বর ২৪৪ জন,৯ ডিসেম্বর ২৪৫ জন,১০ ডিসেম্বর ২৩৮ জন,১১ ডিসেম্বর ২৫২ জন,১২ ডিসেম্বর ২৫৪ জন ও ১৩ ডিসেম্বর ২৫৫ জন সহ ২ হাজার ৪ শ ৯৮ জনকে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর ভর্তি করা হয় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে। এতে ১ শ বেডের জনবল দিয়ে রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০ বেড থাকলেও চিকিৎসা দেয়া হয় একই সময়ে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে ভর্তি করা হলেও তাদের ১০ জনের ভাগ্যে জোটে বিছানা। বাকীদেরকে হাসপাতালের বিছানা ছাড়াও বাড়ান্দা,মেঝে এমনকি সিঁড়ির নিচেও বিছানা দেয়া হয় ডায়রিয়া রোগীকে।

গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ কমপেস্নক্রে গিয়ে দেখা যায়,শীতজনিত রোগীদেও ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা নেওয়ার চিত্র।হাসপাতালগুলোতে আসা অধিকাংশ রোগী ডয়রিয়া,শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকায় দিনের অর্ধেক সময় সূর্যের দেখা মেলে না। চারদিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। সেই সঙ্গে উত্তরের মৃদু হিমেল হাওয়া বইছে। দিনশেষে রাত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। যেন বৃষ্টির মতো ঝড়ছে এসব কুয়াশা। এ কারণে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। কনকনে এই ঠান্ডায় যবুথবু হওয়া মানুষগুলো নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে বিপাকে রয়েছে স্বজনরা। সবচেয় বেকায়দায় ছিন্নমূল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। এসব পরিবারে ধীরে ধীরে দেখা দিচ্ছে নানা রোগের প্রকোপ।ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে পরিবারের সদস্যরা নিচ্ছেন পলস্নী চিকিৎসকের কাছে, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ কমপেস্নক্স ও ক্লিনিকে ছুটছেন। ফুলছড়ি উপজেলার চরের বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, গরিব পরিবারের শ্রমজীবী মানুষ আমরা। অতি ঠান্ডায় আমার মেয়ে মনিরা খাতুন (৮) শ্বাসকষ্টে ভুগছে। মেয়েকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে বছরজুড়ে ৩ হাজার ৬৪১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল, তত্বাবধায়ক,মাহবুব হোসেন বলেন,সম্প্রতি শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।এখনো প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে৯০জন রোগী আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শতাধিক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন