ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভ্যাট আদায় বেড়েছে ১০ খাতে

ভ্যাট আদায় বেড়েছে ১০ খাতে

চলতি অর্থবছরে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রদানকারী (লার্জ ট্যাক্সপেয়ার্স ইউনিট বা এলটিইউ) শীর্ষ ১০ খাতের মধ্যে সাতটি খাত থেকেই ভ্যাট আদায় বেড়েছে ২০ শতাংশ। এসব খাতের মধ্যে সিগারেট থেকে ব্যাংক, ফার্মা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, পানীয়, পানি সরবরাহ খাত রয়েছে। করোনা মহামারির ধাক্কায় লোকসান কাটিয়ে অর্থনীতিতে যে গতি ফিরেছে তার সুবাদেই এসব খাত থেকে ভ্যাট আদায় বেড়েছে। অবশ্য, বিপরীত দিকে ভ্যাট পরিশোধে নেতিবাচক অবস্থানে থাকা শীর্ষ খাতের মধ্যে রয়েছে মোবাইল টেলিকম অপারেটর, সাবান ও সিমেন্ট খাত। শীর্ষ এই তিন ভ্যাট প্রদানকারী খাত থেকে আদায় কমেছে। সূত্র জানিয়েছে,

সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এলটিইউ-ভ্যাট অফিসের তালিকাভুক্ত ১১০টি কোম্পানির কাছ থেকে সব মিলিয়ে ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আকারে এক লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এনবিআর। আর চলতি অর্থবছরের জন্য রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্রমতে, ভ্যাট আদায় যেমন বেড়েছে তেমনি অনেক ক্ষেত্রে কমেও গেছে। বিশেষত, ১১০টি বড় কোম্পানির মধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠান থেকেই ভ্যাট আদায় না বেড়ে উল্টো কমেছে। মোট ভ্যাটের ৫০ শতাংশ আদায় হওয়া এলটিইউয়ের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। ভ্যাট প্রদানের তালিকায় ১৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্যাস খাত। এছাড়া ব্যাংক খাত থেকে ২৫ শতাংশ, সিগারেট থেকে ১৬ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে ১১ শতাংশ, বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ১০ শতাংশ, পানি সরবরাহ থেকে ৩ শতাংশ এবং বেভারেজ থেকে এসেছে ২ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছ থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২১৬ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ শতাশ কম। সাবান খাতের একক কোম্পানি হিসেবে ইউনিলিভারের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় কমেছে ১৩ শতাংশ আর সিমেন্ট খাতের ৯টি কোম্পানির কাছ থেকে সম্মিলিতভাবে কমেছে ১০ শতাংশ। সূত্রমতে, অর্ধেকের বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে সিগারেট খাত থেকে। আদায়ের দিক থেকে তারপর ছিল মোবাইল ফোন অপারেটর, ব্যাংক, ওষুধ, গ্যাস ও অন্যান্য খাত। টেলিকম অপারেটরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয় গ্রামীণফোনের কাছ থেকে।

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথমার্ধে গ্রামীনফোনের ভ্যাট কমেছে ৪ শতাংশ আর রবির ৩ শতাংশ। তবে বাংলালিংকের ভ্যাট বেড়েছে ৪ শতাংশ। গ্রামীণফোনের আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে তাদের আয় বেড়েছে, কিন্তু মুনাফা কমেছে। ইউনিলিভার থেকে ভ্যাট আদায় কমে যাওয়ার বিষয়ে এনবিআর সূত্রগুলি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির বিক্রিবাট্টা কমে যায়। এছাড়া, কর রেয়াতের সমন্বয়ও কোম্পানিটির দেওয়া ভ্যাট কমার আরেকটি কারণ।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন