ইতালীর রাজধানী রোমে শুরু হওয়া জি টুয়েন্টি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে জলবায়ু পরিরর্তন বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিশ্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে গতকালই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
এছাড়া প্রথম দিনের বৈঠকে বিশ্ব অর্থনীতি ও করোনা মহামারি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বহুজাতিক কম্পানিগুলোর কর ফাঁকি দিয়ে মুনাফা বৃদ্ধিতে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট করের ঐতিহাসিক চুক্তিতে সায় দেন বিশ্বনেতারা। এছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার ঘোষণাও দেয়া হয়।
করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথমবারের মত জি টুয়েন্টি নেতারা সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত হলেন। তবে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্বে যত কার্বন নিঃসরণ হয়, তার ৮০ শতাংশের জন্যই দায়ী জি-২০ভুক্ত দেশগুলো। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে এ দেশগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে গ্লাসগোতে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৬-এর আগে এবারের জি-২০ সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন অনেকেই।
আনন্দবাজার/শহক