শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এত ভয়ঙ্কর রূপে তিস্তাকে আগে দেখেনি কেউ

এত ভয়ঙ্কর রূপে তিস্তাকে আগে দেখেনি কেউ

স্মরণকালের ভয়ঙ্কর ঢলে ৪টি স্পার বাঁধসহ অসংখ্য স্থানে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে তিস্তা অববাহিকা। নীলফামারী ও রংপুরের নদী তীরবর্তী এলাকায় হু হু কোরে পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো মানুষ।

সচরাচর পাহাড়ি এ নদীর আকস্মিক বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে এই অঞ্চলের মানুষ বেঁচে থাকলেও, এবারের মতো তিস্তার ভয়ঙ্কর রূপ আগে দেখেননি তারা।

মাত্র ১২ ঘণ্টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ২০০ সেন্টিমিটার পানি বাড়ার রেকর্ড এবারই প্রথম। মঙ্গলবার রাত থেকে বাড়তে থাকা পানি হঠাৎই বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর উঠে যাওয়ায় তিস্তা ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস গুঁড়িয়ে প্রবল বেগে নদীর পানি ঢুকে পড়ে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা দিয়ে।

পনি তোড়ে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, শৌলমারী, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নদীর ডানতীর বাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তীব্র বেগে। ভেঙে-চুরে নিয়ে যায় কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি। এই বাঁধটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও শহর রক্ষা বাঁধ নামে পরিচিত।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কীকারণ কেন্দ্র জানিয়েছে বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ততক্ষণ পর্যন্ত টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা ঢলের মুখে থাকা মানুষের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী তিস্তা ব্যারেজের উজান-ভাটিতে ৪টি স্পার ক্ষতিগ্রস্ত হবার কথা স্বীকার করেছেন। তবে পানি কমার পর বালির বস্তা ফেলে সেসব মেরামত করা হবে জানালেও এখনই ভাঙন ঠেকানোর কোনো পদক্ষেপের কথা বলতে পারেননি।

উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ আছে। পানি কমার পর বালির বস্তা ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন বিআইইউ উপাচার্য

উজানে সিকিম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়িসহ ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা ব্যারেজের ৬৫ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় হঠাৎ এই ঢল নামে তিস্তায়। গজলডোবা ব্যারেজ বন্ধ না করা পর্যন্ত পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন