রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে কারখানা চালুর উপায় খুঁজছে গার্মেন্টস মালিকরা

পোশাক কারখানা খোলার খবরে লকডাউনের মধ্যেই নানা ধরনের ভোগান্তি পেরিয়ে গত ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের বিসিক শিল্পনগরীতে গিয়েও কারখানা বন্ধ পেয়ে ফিরে যান হাজার হাজার শ্রমিক। করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে দেশজুড়ে মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে সরকার সাধারণ ছুটির মেয়াদ ২৫ এপ্রিলের পর আরও দশ দিন বাড়ালেও এরই মধ্যে কীভাবে কারখানা চালু করা যায় তার উপায় খুঁজছেন তৈরি পোশাক খাতের শিল্প মালিক ও উদ্যোক্তারা।

তৈরি পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলোর উদাহরণ তুলে ধরে কিছু শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মে মাসের শুরু থেকে কয়েকটি কারখানা খোলার বিষয়ে প্রস্তাবিত একটি কর্মকৌশল সরকারের কাছে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন।

তৈরি পোশাকের উৎপাদন ও বিপণনকারীদের মধ্যে সমন্বয়কারী সংগঠনটির সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন জানান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে গত মঙ্গলবার তারা প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ যারা বর্তমান মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেও কিছুদিন বন্ধ রাখার পর আবার উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে তাদের থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি। ভারতে ২০ শতাংশ শ্রমিককে উপস্থিত রেখে কিছু কিছু কারখানা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।

ভিয়েতনামে অনেক আগেই কল-কারখানা চালু হয়েছে। আমাদেরও বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা দেশীয় প্রেক্ষাপটে সেই মডেলটি দাঁড় করিয়েছি। একজনের কাছ থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমণ রোধ করে কীভাবে কাজ করা যায় সেটা আমরা দেখিয়েছি।

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা যথাযথভাবে মেনে শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে রমজান মাসের মধ্যে সীমিত আকারে কিছু গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা চালু করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুনঃ  ফের অশান্ত ক্যাম্প

পোশাক তৈরি ও রপ্তানিকারকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ জানান, বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হকের নেতৃত্বে একটি দল কাজ করছে। দেশের-ভেতরে বাইরের কারখানার তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা শুরু হয়েছে। কোন সিদ্ধান্তটি নিলে সবচেয়ে ভালো হয় তা ঠিক করে ৩-৪ দিনের মধ্যেই একটি প্রটোকল তৈরি করা হবে।

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন