চলতি বছরের এস এস সি পরীক্ষার অনিয়ম নিয়ে উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। আর এই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এই বছর পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় রয়েছে পর্যাপ্ত ঘাটতি এবং প্রশ্নপত্রে রয়েছে ভুল। যার ফলে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে।
সম্প্রতি জানা গেছে, শিক্ষকরা চলমান এস এস সি পরীক্ষার প্রশ্ন বইয়ের বাজারের নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই থেকে। সেই সাথে প্রশ্ন করছে পুরনো সিলেবাস থেকে। এমনকি পরীক্ষার সময়ও তাদের নিজেদের ইচ্ছেমত বাড়াচ্ছেন বা কমাচ্ছেন ।
এছাড়াও শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে সদিচ্ছায় খাতা এবং প্রশ্ন বিতরণে দেরি ও দায়িত্ব পালনেও অবহেলা করছেন। তারা পরিদর্শনের সময় উচ্চ স্বরে নিজেদের মাঝে গল্প করা ছাড়াও পরীক্ষার কেন্দ্রে কেউ কেউ নিয়ে আসছেন মোবাইল ফোন। অনেক জায়গায় পরীক্ষার হলে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছেন তারা।
দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান, নির্দিষ্ট খাতাগুলো তারা চিহ্নিত করে রেখেছেন। সেগুলো পরীক্ষার পড়ে বিশেষভাবে দেখা হবে। ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য পরীক্ষার্থীদের কোন ক্ষতি হবে না বলে জানান।
এই ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া কোনো পরীক্ষার্থীরই ক্ষতি হবে না। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সেসব খাতা শনাক্ত করে আলাদা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে তা মূল্যায়ন করা হবে। যদিও নিয়মিত এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন বিতরণ করার আগে তা ভালোভাবে দেখে বিতরণ করার দায়িত্ব শিক্ষকদের। তাই এই ব্যাপারে পরীক্ষায় কোন ভুল হলে এর দায় দায়িত্বরত শিক্ষকেরই।কোনো শিক্ষকের ভুল শনাক্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/ এইচ এস কে