শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের অধীনে আসতে চায় ‘মেঘালয়ের ৪ গ্রাম’

ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তা পাকা না করায় বাংলাদেশের অধীনে আসতে চাইছে মেঘালয়ের চারটি গ্রাম।

সম্প্রতি মনিপুর-ভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘এফপিএসজে রিভিউ অব আর্টস অ্যান্ড পলিটিক্স’ এ বিষয়ে বুধবার একটি সংবাদ প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনামে জানানো হয়েছে, আরেকটু উন্নত জীবনের আশায় মেঘালয়ের গ্রামবাসীরা বাংলাদেশের অধীনে যেতে চায়। ওই চার গ্রামের মানুষের ক্ষোভের কথা ভারতের প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায়ও অনেকবার এসেছে।

হিঙ্গারিয়া, হুরয়, লাহালাইন এবং লেজারি- এই চার গ্রামে মেঘালয়ের প্রায় ৫ হাজার আদিবাসী বসবাস করেন। বছরের পর বছর ধরে এই অঞ্চলের রাস্তাগুলো অবহেলা আর অযত্নে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অনেকবার আবেদন করার পরও ভারতীয় প্রশাসন কোন ধরণের সাড়া দেয়নি। এরপর সম্প্রতি তারা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।

শুধু রাস্তা নয়, এই অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। তাছাড়া নেই স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ।

গ্রামবাসীরা মিলে গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) একটি বৈঠকে বসেন। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেন ভারত সরকারের দৃষ্টি গোচর করতে বাংলাদেশের অধীনে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হবে।

কিনজাইমন আমসে নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, ‘সীমান্তের মানুষের জীবন কোনো সরকারের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা শুধু ভোটের জন্যই ব্যবহৃত হই। সরকার যদি আমাদের সত্যিকার অর্থে ভারতীয় বলে বিবেচনা করে থাকে, তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো দ্রুত ঠিক করা উচিত। অন্যথায় সাধারণ মানুষের কিছু করার থাকবে না। কঠিন পদক্ষেপ নিতে তারা বাধ্য হবে।’

আরও পড়ুনঃ  নওগাঁয় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা

উল্লেখ্য, এই চার গ্রাম ভারতের মেঘালয়ের পূর্ব জয়টিয়া জেলার ভেতর পড়েছে। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারের মতো।

কিনজাইমন জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসী এখন ক্লান্ত। হতাশ। মিটিংয়ে ৫ হাজার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার যদি রাস্তা ঠিক করতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশকে চার গ্রাম দিয়ে দিতে পারে।’

তারা আরও জানান, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশ সরকারের কাছে রাস্তা ঠিক করার বিষয়ে লিখিত আবেদন করবো।’

করোনার কারণে সৃষ্টি হওয়া লকডাউনের কথা উল্লেখ করে ওই ব্যক্তি জানান, ‘পৃথিবী হয়তো এখন প্রথমবার লকডাউনে পড়েছে। তবে আমরা লকডাউনে আছি আজীবন।’

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন