করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রথম দিকে সংক্রমণ রোধে চীনের ভূমিকা কী ছিল সে বিষয়ে তদন্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সম্মেলনে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বিশ্বের ১০০টি দেশ ইইউর এই খসড়া প্রস্তাবনায় সমর্থন দিয়েছে।
আজ সোমবার থেকে চার দিনব্যাপী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনেভায়। অনলাইনে আয়োজিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনে চীনের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তাব দেবে ইইউ। ইইউর খসড়া প্রস্তাবনা তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশ অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার তৎপরতা ও খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে চীন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বেইজিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার এ ধরনের কর্মকাণ্ড দায়িত্বহীনতার পরিচয়। এতে মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়টি ব্যাহত হবে। যার ভুক্তভোগী হবে মানুষ।
ইইউর তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবে চীনের বিরুদ্ধে ‘নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও ব্যাপক তদন্ত’ করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে ইইউ কিছুটা নরম ভাষা ব্যবহার করেছে। অথচ ভাইরাসের উৎপত্তি ও চীনের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার কড়া অবস্থান কিছুদিন আগেও ছিল চোখে পড়ার মতো।
এর আগে বেইজিং বলেছিল, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সে বিষয়ে একমাত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত মেনে নেবে চীন। তবে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত সপ্তাহে ব্রিটেনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিও জিয়াওমিং বলেছিলেন, আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমাদের সমস্ত কার্যক্রম স্বচ্ছ। সেহেতু আমাদের ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। আমরা আন্তর্জাতিক, স্বাধীন মূল্যায়নকে স্বাগত জানাই। তবে এ কাজ হতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস