পবিত্র কাবা শরীফ এর চারদিকে যে মসজিদটি রয়েছে সেটি মসজিদ আল-হারাম নামে পরিচিত। প্রতিবছর হজের মৌসুমে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব সমাবেশ ঘটে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত এই মসজিদটিতে।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম ইবাদতের স্থান পবিত্র কাবা। এখনো প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬০ কোটি মুসলিম কাবার দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হ্বজ ও ওমরা পালনের জন্য কাবাকে প্রদক্ষিণ করতে হয়।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে এই প্রথম করোনা সময় কাবাকে প্রদক্ষিণ করা বন্ধ ছিল। তবে প্রায় ১ মাস পর আবারও খোলে দেয়া হয়েছে। এর আগে প্রদক্ষিণ কখনই থেমে থাকেনি।এমনকি অতীতে বন্যার সময় মানুষ সাঁতার কেটে কাবাকে প্রদক্ষিণ করেছে।
ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২১৩০ সালের দিকে কাবা নির্মাণ করা হয়। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও তার পুত্র ইসমাঈল আলাইহিস সালাম একত্রে কাবা নির্মাণ করেন। পূর্বে কাবাকে কে কেন্দ্র করে একটি খোলা স্থানে ছিল মসজিদ।
বিভিন্ন সময়ে একটু একটু করে মসজিদুল হারামের নির্মাণকাজ হয়। ৬৯২ সালে প্রথম ছাদ সহ দেয়াল দিয়ে মসজিদটি ঘিরে দেয়া হয়। ১৫৭০ সালে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় সেলিমের আমলে সমতল ছাদের বদলে ক্যালিগ্রাফি সম্বলিত গম্বুজ ও নতুন স্তম্ব স্থাপন করা হয়। ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে সাফা ও মারওয়া কে মসজিদের দালানের মধ্যে নিয়ে আসা হয়। ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮০০ বর্গমিটারে এই মসজিদের ৮১ টি দরজা যার প্রত্যেকটি সব সময় খোলা থাকে
বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ এর ধারণক্ষমতা ২০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেন। সেজন্য ২০০৭ সালে মসজিদুল হারামের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়। যা এখন চলমান।
বৃটেনের বিখ্যাত আবাসন কোম্পানি হোমস এন্ড প্রপার্টির তথ্য মতে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মসজিদ আল-হারাম। মসজিদটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার।
আনন্দবাজার/শহক