শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চে ফ্রান্সের অর্থনীতির সংকোচন

করোনাভাইরাসের প্রকোপে ফ্রান্সের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থনীতির সংকোচন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। এর ফলে মন্দার মুখে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশটি। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করেছে।

ফ্রান্সের সরকারি স্ট্যাটিস্টিকস এজেন্সি আইএনএসইইআল গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ফ্রান্সের গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) আগের তিন মাসের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই প্রান্তিক ধরে দেশটির জিডিপি নিম্নমুখী রয়েছে। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় বা ১৯৪৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের পর এটাই কোনো প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি হারে সর্বোচ্চ পতন।

এর আগে রয়টার্সের এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছিলেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ফ্রান্সের জিডিপি হার ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমতে পারে। বাস্তবে তাদের প্রাক্কলনের তুলনায় অনেক বেশি সংকুচিত হয়ে এসেছে ফরাসি অর্থনীতি। এর আগে সর্বশেষ ১৯৬৮ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ফ্রান্সের জিডিপি ৫ শতাংশের ওপর কমেছিল।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে ফ্রান্সজুড়ে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনকেই দেশটির সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকোচনের পেছনে দায়ী করা হচ্ছে। এ সময় ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেয় ইমানুয়েল মাখোঁ সরকার। এতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

আইএনএসইইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি ভোক্তা ব্যয়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফ্রান্সে ভোক্তা ব্যয় আগের প্রান্তিকের তুলনায় রেকর্ড ৬ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। শুধু মার্চেই আগের মাসের তুলনায় কমেছে ১৮ শতাংশ। পণ্য উৎপাদন কমেছে ৪২ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে খারাপ সময় পার করতে যাচ্ছে ইতালি

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন