শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ২ মাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল

গাজায় ২ মাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল

ইসরায়েল হামাসের হাতে বন্দি ১৩৬ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে। কাতার ও মিশরের মাধ্যমে বিবেচনার জন্য এই প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

এছাড়া, ইসরায়েল দুই মাসের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে নারী-শিশু, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও গুরুতর অসুস্থ জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে। পরবর্তীতে ধাপে সব নারী সেনা ও ৬০ বছরের চেয়ে কম বয়সী বেসামরিক পুরুষ, পুরুষ সেনা ও নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর করতে হবে।

উক্ত প্রস্তাবে ইসরায়েল আরও বলেছে, জিম্মি মুক্তি শুরুর আগে উভয়পক্ষের আলোচনায় নির্ধারণ করতে হবে যে জেরুজালেমের কারাগারে বন্দি কতজন ফিলিস্তিনিকে ওই যুদ্ধবিরতি চলাকালে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর বাকি বন্দিদের বিষয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা হবে। প্রস্তাবে ইসরায়েল স্পষ্ট করে বলেছে, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করবে না। তবে গাজার প্রধান শহরগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে ও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ধীরে ধীরে বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি মোট ছয় হাজার ফিলিস্তিনির সবাইকে মুক্তি দেবে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিবাদে অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত ২৫ হাজার ছাড়ালো

২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি হয় গাজায়। ওই সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনো তাদের কাছে রয়েছে। তবে ইসরায়েলি হামলায় জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন, যাদের মরদেহও হামাসের কাছে রয়েছে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, এক্সিওস

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন