বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুয়েজ খাল থেকে বাণিজ্যিক আয় ৫৮০ কোটি ডলার

বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত সুয়েজ খাল থেকে থেকে বিদায়ি বছরে মিশরের রাজস্ব  আয় হয়েছে ৫৮০ কোটি ডলার। ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করা এই খালটি উত্তরে ইউরোপ থেকে দক্ষিণে এশিয়া, উভয়প্রান্তে পণ্যপরিবহনের জলপথ হিসাবে ব্যবহৃত হয় । এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে সুয়েজ খাল থেকে আয় এক দশমিক তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুসারেেএর আগে ২০১৮ সালে সুয়েজ খাল থেকে মিসরের আয় ছিল ৫৭০ কোটি ডলার। তবে গত অর্থবছরে  ১০ কোটি ডলার আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫৮০ কোটি ডলারে। সার্বিকভাবে আয় বেড়েছে এক দশমিক তিন শতাংশ।

এসসিএ চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন, সুয়েজ খাল দিয়ে চলাচলকারী সব ধরনের জাহাজে ২০১৯ সালে যে পরিমাণ ট্রানজিট ফি ছিল, চলতি বছরেও তা অব্যাহত থাকবে। তবে ড্রাই বাল্ক ভেসেল ও এলপিজি ক্যারিয়ার জাহাজের ট্রানটিজ শুল্ক পাঁচ শতাংশ হারে বাড়বে। উভয় ধরনের জাহাজেই এ বর্ধিত ফি কার্যকর থাকবে।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ২০১৯ সালে সুয়েজ খাল দিয়ে ১৮ হাজার ৮৮০টি জাহাজ পার হয়েছে। সবগুলো জাহাজের সম্মীলিত ওজন ছিল ১২০ কোটি টন।

বৈশ্বিজ জাহাজ চলাচলের জন্য মিসরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া সুয়েজ খাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সে কারণে সমুদ্রপথের বাণিজ্যে খালটির গুরুত্ব অপরিহার্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল ভূখণ্ড অতিক্রম না করেই ইউরোপ ও এশিয়ার জাহাজগুলোর এ রুট দিয়ে চলাচল করতে পারে। তাই সমুদ্রগামী জাহাজগুলোর চলাচলপথ অন্তত সাত হাজার কিলোমিটার কমে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১১কোটি ৮৪ লাখ টাকা বেশী আয় করেছে হিলি কাষ্টমস

বিশ্বের মোট জাহাজের অন্তত ১২ শতাংশ মানুষের খননকৃত ওই খাল দিয়ে চলাচল করে। তাই এই খালটি মিসরের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। দেশটির অর্থনীতিতে খালটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

আনন্দবাজার/এফআইবি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন