শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপে জন্ম নিয়েছে নতুন প্রশ্ন

চলতি বছরের জুলাই মাসের পর গত ২৯ ডিসেম্বর রবিবার ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে। আর এজন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ফোন দিয়েছিলেন। তবে তাদের এই ফোনালাপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নানান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। খবর: সিএনএন।

সেন্ট পিটার্সবার্গে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে, আর এমন তথ্য দিয়ে মার্কিন একটি গোয়েন্দা সংস্থা রাশিয়াকে সহায়তা করেছে। এই তথ্যের জেরে দুই রাশিয়ান নাগরিককে আটক করেছে, যারা কিনা বড় সমাবেশে এই হামলার পরিকল্পনা করছিল।

রাশিয়া দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিন ফোন করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত না জানালেও বিবৃতির ব্যাপারে প্রথমে মুখ খুলেনি ট্রাম্প প্রশাসন। শুধুমাত্র উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্র প্রধান দ্বয় দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলেছেন।

রাশিয়ার বিবৃতি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্র এই ফোনালাপের বিষয়ে স্বল্প পরিসরে তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন হবে। ঠিক এর আগে দুই রাষ্ট্র প্রধানের কথোপকথন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের ফোন আলাপ বিষয়ে মুখে কুলুপ এর জন্য জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্ন।

কেননা এর আগে অভিযোগ রয়েছে ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিততে ট্রাম্পকে সহায়তা দিয়ে ছিল রাশিয়া। এছাড়াও ট্রাম্প বরাবরই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে বিবৃতি দিতেন।

এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, শুধু পুতিন নয় সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প গোপনীয়তা অবলম্বন করে থাকেন। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বিশ্বস্ত কর্মকর্তা ছাড়া তিনি কাউকেই সামনে রাখেন না। তাছাড়া ইউক্রেন কেলেঙ্কারির পর থেকে প্রশাসন আরও সচেতন হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ইরানে করোনাভাইরাসে খামেনির উপদেষ্টার মৃত্যু

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন