বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চালু হলো বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

সরবরাহ শুরু করেছে বিশ্বের প্রথম ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দূরপ্রাচ্যের চুকোতকা অঞ্চলের পেভেক শহরের চাউন-বিলবিনো নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সরবরাহ শুরু করেছে একাডেমিক লামানোসভ নামের রাশিয়ান এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রসাটমের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রসাটম) প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার লিখাচভ বলেন, একাডেমিক লামানোসভ হলো বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যা ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। রাশিয়া ও বিশ্বের পারমাণবিক শিল্পে এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

লল্ডনভিত্তিক এনজিও এনার্জি ফর হিউমিনিটির প্রধান ক্রিস্টি গোগান বলেন, অত্যন্ত বিরূপ জলবায়ুর দুর্গম অঞ্চল, যেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার টেকসই নয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর পুরোপুরি নির্ভর করাও সম্ভব নয়, এমন অবস্থায় ক্ষুদ্র ও ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই একমাত্র সমাধান। আর্কটিকসহ অন্যান্য অঞ্চলকে কার্বনমুক্ত করার ক্ষেত্রে একাডেমিক লামানোসভ প্রথম পদক্ষেপ।

একাডেমিক লামানোসভ রাশিয়ার ১১তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। এসব ক্ষুদ্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দিয়ে দেশটির উত্তর ও দূরপ্রাচ্য অঞ্চলের বিদ্যুৎ এর চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য দেশে রপ্তানির পরিকল্পনাও করছে রাশিয়া।

ভাসমান একাডেমিক লামানোসভের দৈর্ঘ্য ১৪৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ মিটার। এতে রয়েছে দুইটি কেএলটি-৪০সি রিয়্যাক্টর, যার প্রতিটি ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। ক্ষুদ্র মডিউলার রিয়্যাক্টরভিত্তিক ৩০০ মেগাওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলো জলে এবং স্থলে রি-ফুয়েলিং ছাড়াই টানা ৩-৫ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।

 

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

আরও পড়ুনঃ  সম্পদ হারিয়েও শীর্ষ ধনী বেজোস

সংবাদটি শেয়ার করুন