শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র খরায় ব্যাহত অস্ট্রেলিয়ার গম উৎপাদন

তীব্র খরা মোকাবেলার মধ্যে দিয়ে টানা তিন বছর গম উৎপাদন করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। অন্যতম রফতানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও চলতি বছরের জুনে এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো গম আমদানি করতে হয়েছে দেশটিকে।

চলতি উৎপাদন মৌসুমেও (এপ্রিল-মার্চ) খরা দেশটির গম উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিসোর্স ইকোনমিকস অ্যান্ড সায়েন্স (এবিএআরইএস)। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন এমন সতর্কতাসূচক বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।

অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়। দেশটি থেকে রফতানি হওয়া গমের প্রায় অর্ধেকই আসে এ অঞ্চল থেকে। কিন্তু টানা কয়েক বছর ধরে তীব্র খরার কারণে একদিকে যেমন দেশটির গম উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে নিম্নমানের আবাদ হওয়ায় রফতানি খাতও বাজার হারাচ্ছে।

এবিএআরইএসের প্রাক্কলন প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে, ২০১৯-২০ উৎপাদন মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গম উৎপাদন আগের প্রাক্কলনের তুলনায় ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ কমতে পারে। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে দেশটিতে গমের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টনে, যা ২০১৮-১৯ মৌসুমে উৎপাদিত হওয়া গমের তুলনায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কম।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় গমের আবাদ ৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪ লাখ হেক্টরে। আর এ সময় গমের উৎপাদন ৪১ শতাংশ কমে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ মৌসুমে আন্তর্জাতিক বাজারে গম রফতানিতে অস্ট্রেলিয়ার হিস্যা ছিল ১২ শতাংশ। এ সময় দেশটি গম রফতানিতে তৃতীয় শীর্ষ দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে পরের মৌসুমে এ হিস্যা কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ২ শতাংশে।

আরও পড়ুনঃ  কৃমিল্লায় রবি ফসল উৎপাদনের বৃদ্ধির লক্ষে বীজ ও সার বিতরণ

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন