মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরিকদের দ্রুত রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইউক্রেন

রাশিয়ায় অবস্থান করা নাগরিকদের দ্রত দেশটি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন। আজ বুধবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের নাগরিকদের পরামর্শ দিচ্ছে রুশ ফেডারেশনে যেকোনো প্রকার সফর থেকে বিরত থাকার ও যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদের দ্রুত দেশ ত্যাগ করার।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘রুশ আগ্রাসনের তীব্রতা বাড়ায়’ রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয়দের কূটনৈতিক সেবা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় এই নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী এবং সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে সোমবার বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় রুশ সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এরপর থেকেই কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে ইউক্রেনকে ঘিরে চলমান উত্তেজনা।

এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর রাশিয়া দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া অঞ্চলটি দখল করে নেয়। এছাড়া মস্কোর পৃষ্ঠপোষকতায় পূর্ব ইউক্রেনে বিপুল অঞ্চল দখল করে নেয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ এবং ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠা করে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এই সংঘর্ষ বন্ধে ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যস্থতায় ২০১৪ সালে বেলারুশের মিনস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়া এক চুক্তি করে।

মিনস্ক চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময় এবং দোনবাস অঞ্চল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সরে যাওয়ার বিষয় যুক্ত ছিলো। দোনবাস অঞ্চল থেকে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা সরে গেলে ওই অঞ্চলে গণভোটের ব্যবস্থা করবে ইউক্রেন। তবে পরস্পরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগের জেরে এই চুক্তি আর বাস্তবায়িত হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  চাঁদে চীনের সফল অভিযানের পেছনে রয়েছে যে নারী

আনন্দবাজার/টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন