ঢাকা | রবিবার
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নানা আয়োজনে জবি দিবস পালিত

মহামারি করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে করোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অন্যান্য বারের মত এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটিতে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা খুবই কম লক্ষ্য করা যায়।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯.১০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং ৯.১৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।

এরপর সকাল ৯.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও একমাত্র ছাত্রী হল “বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব” হলের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনষ্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল এর প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এস. এম. আনোয়ারা বেগম, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সকাল ১০.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২০ উপলক্ষে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, শতভাগ অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অন্যান্য সকল সমস্যা অতিক্রম করেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমসাময়িক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত যে সংকট রয়েছে নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন হলে সেটিও নিরসন হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সম্পদ হচ্ছে মেধাবী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষক পিএইচ.ডি গবেষণা করছেন। মানবসম্পদ উন্নয়নে আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি। যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আমাদের শিক্ষার্থীদের অবস্থান সবার শীর্ষে।

পরবর্তীতে বেলা ১২.৩০ মিনিটে সংগীত বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহনে ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের ব্যবহারের জন্য ১২ আসন বিশিষ্ট দুইটি (২ টি) এসি মাইক্রোবাস উদ্বোধন সহ পরিবহন পুলের গাড়ি ড্রাইভার এবং বাস হেলপারদের জন্য বিশ্রামাগারের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

আনন্দবাজার/শাহী/সাঈদ

সংবাদটি শেয়ার করুন