সম্প্রতি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি ভবন থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
উক্ত মানমানববন্ধনে ২০ জন সাধারন শিক্ষার্থী ছাড়াও ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের কান্ডারী জাহাঙ্গীর আলম ও ছাত্রলীগের ফাহাদ সারজিল, শেখ তারেক ও বাবুল শিকদার বাবুকে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলম জানান, শোকের এই মাসে প্রথমেই ১৫ আগস্টে শহীদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও শহীদ হওয়া জাতীয় ৪ নেতাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। একইসাথে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার চুরির ব্যাপারে আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে জাতির জনকের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার এধরণের চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্ত পূর্বে কাউকেই যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর ফলেই এ ধরনের অপকর্মে লিপ্তদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বারবার। করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংকান্ত কারণ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে নানাবিধভাবে জেরার সম্মুখীন করা হয়।
শুধু তাই নয়, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানেই গার্ড এবং সিটি টিভি ক্যামেরা ব্যবস্থা রয়েছে। এ ধরণের একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা অবিশ্বাস্য। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের কেউ না কেউ জড়িত আছে বলে আমাদের ধারণা।
তিনি আরও বলেন, চুরির মত জঘন্য অপরাধের কোন ক্ষমা নাই। এক্ষেত্রে এই ধরনের চুরির সাথে জড়িত পেছনে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করে জনসম্মুখে আনতে হবে। এক্ষেত্রে চোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের বা বাইরের যেই হোক না কেন। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে একটাই দাবি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এখন পর্যন্ত জানা গেছে যে, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৬ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ ছাড়াও রয়েছেন আঃ রহমান সৌরভ শেখ , হাসিবুর রহমান ওরফে শান্ত ওরফে কাকন , নাইম উদ্দিন, কুমিল্লার মোঃ দুলাল মিয়া , ময়মনসিংহের মোঃ হুমায়ুন কবির , মাদারীপুর জেলার নাজমুল হাসান বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে/ এ টি জে