সম্প্রতি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহীন আফ্রিদ শাহরিয়ার ও তার বাবাকে মারধর করে গুরুতর ভাবে আঘাত করা হয়।মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, শরিয়তপুর জেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহরিয়ার এর দাদার সম্পত্তি থেকে তার চাচাদের প্রাপ্ত অংশটুকু তার চাচারা কালাম নামে এক ব্যাক্তির কাছে প্রায় ১৫ বছর আগে বিক্রি করে দেয়। জমি ক্রয় করা সেই লোক ক্রয় করার সময়ে যেভাবে জমির দখল নিছিলো এখন অন্য ভাবে দখল চাচ্ছে । তারা শাহীনের চাচাদের থেকে ক্রয় কৃত জমি ছারাও শাহিনদের জমি অবৈধ ভাবে দাবি করে আসছে। শাহীন এর পরিবার জমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে দীর্ঘদিন যাবত এ নিয়ে শাহীনের পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এই অবস্থায় আজ সকাল বেলা শাহিনরা তাদের জমি ভরাট করতে গেলে সেখানে এসে বাধা দেয় স্থানীয় যুবদলের সেক্রেটারি নজরুল তালুকদার , মিরা তালুকদার, আবু খায়ের মাতবর এবং তাদের সাথে থাকা ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত। নজরুল তালুকদার শাহীনের পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে শাহীন এর পরিবার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখানে তাদের জমি ভরাট করার জন্য আনা পাইপ ভেঙে ফেলে। তারপরে তারা সেখানে থাকা অন্য একজনকে মারতে থাকে। এমতবস্থায় শাহীন ও তার বাবা আবদুল খালেদ সেখানে গেলে তাদেরকে ধারালো দা এবং রড দিয়ে আঘাত করে মেরে গুরুতর ভাবে আহত করে নজরুল তালুকদার, মিরা তালুকদার আবু খায়ের মাতবর। দুর্বৃত্তদের আঘাতে শাহীন ও তার বাবা মারাত্মকভাবে আহত হন। শাহীন বর্তমানে শরিয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
আহত শিক্ষার্থী শাহীন জানায়, আমার কাকা জমি ১৫ বছর আগে কালাম নামে একজনের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু সে এখন জোর করে আমাদের অংশও দখল করতে আসে। আমরা বাঁধা দিলে দলবল নিয়ে মারধর করে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর পালং থানার ওসি বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মারধরের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলছি।
আনন্দবাজার/শাহী