করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় ২মাস যাবত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। অথচ মেসে না থাকলেও নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করতে মেস মালিকরা শিক্ষার্থীদের বারবার ফোন করছে। এতে মেস এবং বাসাভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মেস-বাসাভাড়া মওকুফের জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রংপুর জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন বেরোবি’র উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৪ই মে) ই-মেইলের মাধ্যমে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও রংপুর জেলা প্রশাসকের নিকট চিঠি পাঠিয়েছেন বেরোবি’র উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রংপুর তথা উত্তরাঞ্চলের জনমানুষের দীঘদিনের স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ৬টি অনুষদের ২১টি বিভাগে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় নয় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। দেশব্যাপী করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসজনিত মহামারীর সংক্রমণরোধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এবং একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সেই সাথে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে পারিবারিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল’ থেকে এককালীন আর্থিক অনুদান দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি আবাসিক হলে সর্বোচ্চ ১০০০ শিক্ষার্থী বাস করে। বাকী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চকবাজার, আশরতপুর, সরদার পাড়া, কলেজ রোড, খামারপাড়া, দর্শনা ও মডার্ণ এলাকার বিভিন্ন মেস বা বাসায় থাকে। এখানে অধ্যয়নরত বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং এদের অধিকাংশই পড়ালেখার ব্যয়ভার নিজে টিউশনি বা খন্ডকালীন চাকরি দ্বারা নির্বাহ করে।
বর্তমানে করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে লকডাউনে থাকা উল্লেখিত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের আয়ের পথ সীমিত হওয়ায় শিক্ষা ব্যয় ও ছুটিকালীন মেস/বাসা ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীরা গভীর উদ্বিগ্ন।
আনন্দবাজার/শাহী