বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই দফায় বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ড.ওহাব মিয়া

দুই দফায় বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ড.ওহাব মিয়া

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এ কলেজ পর্যায়ে আবার বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হলেন পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল ওহাব মিয়া। শিক্ষা, গবেষণা, সহপাঠক্রমিক কার্যক্রমসহ শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তিনি এ মর্যাদা লাভ করেন। ২০১৯ সালেও তিনি জেলা ও বিভাগে শিক্ষকতায় শ্রেষ্ঠত্বের এ স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন।

মেধাবী ও চৌকস এই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা একজন শিক্ষার্থী বান্ধব, প্রাণবন্ত ও পরিশ্রমী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তিনি স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নীরব পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবেও পরিচিত। নৈতিকতাবোধসম্পন্ন যুগোপযোগী কর্মমুখী যুবপ্রজন্ম তৈরির প্রচেষ্টায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার তথা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস, অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। তার রয়েছে ‘ড. ওহাব মিয়ার ক্লাস’ নামে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে জড়িত। জনাব ওহাব একজন স্কাউটার। তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনুরাগীও বটে। এক্ষেত্রে তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সর্বস্তরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। জনাব ওহাব পটুয়াখালী পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে তিনি আগ্রহী এবং এসব বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও গবেষণা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা দুইটি।

জনাব ওহাব মিয়ার জন্ম ১ জুলাই ১৯৭৬ বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলাধীন গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামে। তার পিতা এবিএম রফিকুল্লাহ শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন এবং নিজ গ্রামে একটি দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। মাতা জামিনা বেগম একজন গৃহিনী। উচ্চ শিক্ষায় আলোকিত পরিবারে ছয় ভাই বোনের মধ্যে জনাব ওহাব দ্বিতীয়। তিনি ১৯৮৫ সালে আমতলী উপজেলার উত্তর-পূর্ব কলাগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন জিলা স্কুল খ্যাত পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। অষ্টম শ্রেণিতেও তিনি স্কলারশিপ লাভ করেন। পূর্বোক্ত স্কুল থেকে ১৯৯১ সালে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এসএসসি এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৪ সালে বাণিজ্য শাখায় প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাস করে অনার্সে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন ১৯৯৯ সালে।

আরও পড়ুনঃ  সাধারণ শিক্ষায় চালু হচ্ছে কারিগরি: দীপু মণি

তিনি ২৬তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৬ সালে নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস-এ পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সুযোগ পান এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (বিমক) স্কলারশিপ লাভ করেন। ২০১৩ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৭ সালে পদোন্নতি ও পদায়ন প্রাপ্ত হয়ে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে যোগদান করে অদ্যাবধি এই কলেজেই কর্মরত আছেন।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন