দীর্ঘদিনের বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে কমছেই না সবজির বাজারের গরম। সব ধরনের সবজির দাম খুচরায় কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া কোরবানির ঈদের পর থেকে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের চাল, পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে। অন্যদিকে করোনা দুর্যোগে মানুষের আয় কমেছে। ফলে বাজার করতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর টাউনহল কাঁচাবাজার, মিরপুর-১ নম্বর, উত্তর পীরেরবাগ বাজার এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে জানা যায়, বন্যার কারণে যেসব এলাকায় সবজির চাষ হয়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির মৌসুমের এ সময়ে এমনিতেই জোগান কম থাকে। এ অবস্থায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের সবজিও কম আসছে। যে কারণে বাজারে সবজি কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
মিরপুর-১নং বেড়িবাঁধের পাইকারি আড়তের সবজি ব্যবসায়ী মো. শাহবুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক মাস ধরে আড়তে সবজি কম এসেছে। এরপরও যা এসেছে তার দাম পাননি কৃষক। এর পর বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সবজি ক্ষেত। বেশিরভাগ জেলা থেকে আগের মতো সবজি আসছে না। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি থাকায় সংকট চলছে। আড়তে তাই সব সবজির দাম বেশি।
অন্যান্য বছরগুলোতে এ সময় খুচরা বাজারে সবজির দাম সাধারণত কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকে। গতকাল খুচরা বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকার বেশি ছিল। পটোল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ও ঢ্যাঁড়শ ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং কাঁকরোল, বরবটি ও করলা মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ও টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। শুধু পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতিটিেোখা হচ্ছে লাউ ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের ক্রেতা রিকশাচালক মো. জালাল আহমেদ বলেন, চালের কেজিতে পাঁচ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। পেঁয়াজ-আদা কিনতেও বেশি দাম গুণতে হচ্ছে। করোনার এ সময়ে আয় আগের চেয়ে অর্ধেক হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্বিগুণ দামে সবজি কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাজার করে খেয়ে বেঁচে থাকা দায়।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস