শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল পণ্য আমদানিসহ কাস্টমস হাউস প্রতিষ্ঠার দাবি

সকল পণ্য আমদানিসহ কাস্টমস হাউস প্রতিষ্ঠার দাবি

ভোমরা স্থলবন্দর

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিযোগ্য সকল পণ্য আমদানিসহ কাস্টমস হাউস প্রতিষ্ঠার লক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন। 

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভোমরা শুল্ক স্টেশন পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে বাস্তবায়ন করে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন পূর্বক গত ১৮ মে ২০১৩ সালে নৌপরিবহনমন্ত্রী বন্দরের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে নিষিদ্ধপণ্য ব্যতীত সকল পণ্য আমদানি অনুমতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ জানান। 

একই সঙ্গে বেনাপোল সোনা মসজিদ হিলি বুড়িমারী বাংলাবান্ধার ন্যায় সুবিধার জন্য আদেশ জারির অনুরোধ করেন। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এ পর্যন্ত রাজস্ব বোর্ড কোনো প্রকার কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বর্তমানে ভোমরা বন্দরে এক লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ভারতের কলকাতা হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দুরত্ব কম হওয়ায় অন্য যে কোনা বন্দর অপেক্ষা ব্যবসায়ীরা সুবিধা ভোগ করেন। এতে আমদানি ব্যয় ও সাশ্রয় হয়। অন্যান্য বন্দর থেকে ভোমরা বন্দরে ব্যবসায়িরা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হন। অথচ ভোমরা দেশের অন্যান্য সকল শুল্ক আদায় থেকে বেশি রাজস্ব আহরণ করছে। এখান থেকে সরকারি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ভোমরাবন্দর দিয়ে মাত্র ৭৭টি পণ্য প্রবেশের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনিক জটিলতা ও সরকারি জনবলের সংকটে মাত্র ২৭ থেকে ২৮টি পণ্য প্রবেশ করছে। এখানে যুগ্ম-কমিশনার পদমর্যাদা কর্মকর্তার পদ থাকা সত্ত্বেও কোনো কর্মকর্তা নেই। এক্ষেত্রে দ্বৈতনীতি অবলম্বন করছে অন্যান্য শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা। নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি প্রদান, রফতানি বৃদ্ধি হওয়ায় রফতানি পণ্যের জন্য আলাদা ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, সাফটা চুক্তি বাস্তবায়ন, জরুরি ভিত্তিতে যুগ্ম-কমিশনার পদায়নসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃদ্ধিকরণ, সাতক্ষীরা জেলার ২২ লাখ মানুষ আশায় বুক বেঁধেছে। শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রূপান্তরের দাবিটি পূর্ণ হলে মানুষের কর্মস্থল বাড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। দেশের অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে পদ্মাসেতুর সুফল পাবে সাতক্ষীরাবাসী।

আরও পড়ুনঃ  আয়কর রিটার্ন জমা দেননি অর্ধেকের বেশি করদাতা

সংবাদটি শেয়ার করুন