শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিতার দেখানো পথে ছেলের শাকসবিজ চাষ

ফুলকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মামুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের হুরুয়া গ্রামে ফুলকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মামুন। তার দেখাদেখি গ্রামের এখন অনেকেই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

গতকাল শনিবার সকালে হুরুয়া গ্রামে সরজমিনে দেখা যায়, চাষিরা জমি থেকে ফুলকপি তুলছেন স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য। এ সময় মুরশিদুল হক মামুন বলেন, আমি পেশায় একজন কৃষকের ছেলে। আমার বাবা সবসময় শাকসবজি চাষ করতেন। বাবার অভিজ্ঞতা থেকে গত পাঁচ বছর যাবৎ ফুলকপি চাষ করছি। ফুলকপি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ২০১১ সালে আমি বিদেশ থেকে চলে আসি। ২০১২ সালে জমিতে ফুলকপি চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে অল্প চারা রোপণ করেই ভালোভাবে লাভবান হই। পরের বছরে একবিঘা বেশি জমিতে ফুলকপি চাষ করি। এতেও লাভের মুখ দেখি। এরপর থেকেই গত পাঁচ বছর ধরে আমি ফুলকপি চাষ করছি।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ৩৯ শতক জমিতে ছয় হাজার পিস ফুলকপির চারারোপণ করি। প্রতিদিন জমিতে এসে পরিচর্যা করি। চারা রোপণে আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে এগুলো বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়। বিক্রি করার সময় কেজিপ্রতি দাম পাই ২৫  থেকে ৬০ টাকা। বিক্রি করা শেষ পর্যন্ত আমার ৩৯ শতক  জমিতে ফুলকপি চাষ করতে সম্পূর্ণ খরচ হবে ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা। আর আমার বিক্রি হবে প্রায় ৬৬ থেকে ৭০ হাজার টাকা। মুরশিদুল হক মামুন বলেন, আগামীতে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আরও বড় পরিসরে ফুলকপির চাষ করব। আমি মনে করি বাড়তি সময় নষ্ট না করে সকলেরই সবজি চাষে এগিয়ে আসা উচিৎ।

আরও পড়ুনঃ  সফলতার পরেও শঙ্কা

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন