শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলুচাষে লাভের স্বপ্ন

আলুচাষে লাভের স্বপ্ন

কৃষি প্রধান উপজেলা হিসেবে ইতিমধ্যে দেশে নাম কুড়িয়েছে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। এ এলাকার মাটির গুণগত মান অনুকূলে থাকায় সব ধরণের কৃষিজপণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আলু চাষ। এ উপজেলায় অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আলু চাষে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে কৃষকদের মাঝে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক কৃষক অধিক মুনাফার আশায় আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন। যেগুলো বাজারজাত করে বেশ ভালো দাম পেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৌসুমী ফসল হিসেবে আলু চাষে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে কৃষকদের মাঝে। মাটির উর্বরতা ভালো হবার ফলে জমি তৈরি করতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয় না। এছাড়াও স্থানীয় বাজারে আলুর বীজ সহজে পাওয়া যায় বলে আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। এ উপজেলায় কৃষকরা সবচেয়ে বেশি চাষ করছেন কার্ডিনাল জাতের আলু। এ ছাড়াও স্থানীয় জাতের লাল পাঁপড়ি, ডায়মন্ড, অ্যাস্টোরিক এবং ষাইটা জাতের আলু চাষ করছেন কৃষকরা।

স্থানীয় আলু চাষি বকুল হোসেন জানান, আমি স্থানীয় বাজার থেকে আলু বীজ সংগ্রহ করে ২বিঘা জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করেছি। আলু গাছের অবস্থা এখনো পর্যন্ত ভালো। কোনো পোকা মাকড়ের আক্রমণ না হলে আলু চাষ করে ভালো লাভ হবে। এছাড়াও বাড়িতে সারা বছরের আলুর চাহিদা পূরণ করেও বাজারে বিক্রি করতে পারবো।

আরেকজন আলুচাষি বলেন, আমি আগাম জাতের আলু চাষ করেছিলাম ১বিঘা জমিতে। উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারে বেশ ভালো দাম পেয়েছি। প্রতিকেজি আলু পাইকারীদরে বিক্রয় করেছি ৪৮-৫২ টাকা পর্যন্ত। সামনেবার আরো বেশি চাষ করার ইচ্ছে আছে।

আরও পড়ুনঃ  শীতল পাটিতে রঙিন স্বপ্ন

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান টকি বলেন, চলতি বছরে এ উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১৪ মেট্রিক টন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আলুর তেমন কোনো রোগ বালাই নেই। এ উপজেলায় বেশিরভাগ চাষ হচ্ছে কার্ডিনাল জাতের আলু। তবে ডায়মন্ড,পাকড়ী সহ দেশীয় জাতের আলু চাষ হচ্ছে। এছাড়াও স্ব-স্ব ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নত বীজ এবং প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহারের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করাসহ তদারকি করা হচ্ছে। এই উপজেলায় অন্যান্য ফসলের ন্যায় আলু চষেও ব্যাপক বিস্তার লাভ করবেন বলে আশাবাদী এলাকার কৃষকগণ।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন