রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সের প্রত্যাশা

২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সের প্রত্যাশা

চলতি অর্থবছরে আমাদের রেমিটেন্স ২৫ বিলিয়ন দাঁড়াতে পারে। কেননা সামনে দুটি ঈদ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২১ বিলিয়নের মতো রেমিটেন্স এসেছে। প্রবাসীদের কল্যাণে নানা ধরনের প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। তাতে দক্ষ-জনশক্তি গড়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নতি এখন আর বিশ্বের কাছে বিস্ময় নয় বরং এটি বাস্তবতা। কেননা এখন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ক্রয়সংক্রান্ত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড-আইএমএফ’র করা বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে যে পূর্বাভাস করা হয়েছে সে প্রশ্নে বলেন, আমরা ৭ দশমিক ২ শতাংশ টার্গেট করেছিলাম। এটি আশা করি বাস্তবায়ন হবে। এর আগেও বিশ্বব্যাংক একটি পর্যালোচনা দিয়েছিল সেটিকে পিছনে ফেলে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল। আএএমএফ’র ধারণাও পাল্টাতে পারবো।

তিনি জানান, সভায় ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল তার মধ্যে ১২টি ও আগের ৩টিসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

এদিন ৪১তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১টি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ১টি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১টি প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ধরা হয়েছিল ১৭ হাজার ১৫৮ কোটি ৫ হাজার ৯৯৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ-জিওবি হতে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৬৪৪ কোটি ৯১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৪ টাকা এবং দেশিয় ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইনান্স করপোরেশন-আইটিএফসি ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা হতে ঋণ ৮ হাজার ৫১৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩৯ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি ১০ ব্যাংকে বিশাল নিয়োগ

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ৩ লাখ ৯৫ হাজার ট্যাবলেট ফেয়ার ইল্ট্রেনিক্স লি. ৫৩৭ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ৩৯৫ টাকায় ক্রয়ের প্রস্তাবের বিষয়টি পুনরায় টেন্ডার দেয়া হবে।
তবে কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৮ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৮ হাজার ১০৭ কোটি ৭৯ লাখ ৪ হাজার ৪৫৯ টাকা এবং দেশিয় ব্যাংক, এডিবি, আইটিএফসি ও জাইকা হতে ঋণ ৮ হাজার ৫১৩ কোটি ৮ লাখ ৯১ হাজার ১৩৯ টাকা ঋণ হিসেবে দিবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যেসব পণ্য উৎপন্ন হয় তা বিদেশ থেকে আমদানি করা থেকে বিরত থাকা হবে। কেননা আমরা মেইড ইন বাংলাদেশ এ গুরুত্ব দিতে চাই। দুটি কোম্পানি টেন্ডার জমা দিয়েছে সেগুলো আরো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময় বাড়ানো হলো।

চলতি ২৫ ডিসেম্বর থেকে দেশে জনশুমারি হবে। সেজন্য এসব কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা দেশিয় জিনিস ব্যবহার করতে চাই।

বিদেশে রোড শো দিয়ে কি উপকার এই প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরা হচ্ছে। লাভ আগামীতে আসবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন