বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন মাসে কালো টাকা সাদা হয়েছে ১২২ জনের

বর্তমান অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১২২ জন নিজেদের ১৫ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন। এর বিনিময়ে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকার ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা কর পেয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে পাওয়া হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারবাজারে মাত্র একজন ৩০ লাখ টাকা সাদা করেছেন। বিপরীতে সরকারি কোষাগারে ১ লাখ টাকা কর হিসেবে জমা হয়েছে।

নতুন নিয়মে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বহাল রাখা হলেও আগের চেয়ে কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, সঞ্চয়পত্র, জমি ক্রয়ে শুধু ১০% কর দিয়ে ঢালাওভাবে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু বর্তমান অর্থবছরের বাজেটে সরকারের দেওয়া পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে প্রযোজ্য কর হার এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত ৫% জরিমানার শর্ত মেনে কেউ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিলে এনবিআরসহ অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থা তার আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রকার প্রশ্ন করবে না।

বর্তমান বাজেটের বাইরে আরও ৩টি খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ বহাল রয়েছে। সেগুলো হলো- ১০% কর দিয়ে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করলে আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগে একই সুবিধা দেওয়া রয়েছে এবং সিটি ও পৌর করপোরেশনের মধ্যে এলাকাভেদে ফ্ল্যাটে প্রতি বর্গমিটারে নির্ধারিত কর দিয়ে টাকা বৈধ করা যাবে।

এনবিআরের তথ্যমতে, আগের বছর প্রায় ১২ হাজার জন ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সাদা করেছেন, যার বিনিময়ে সরকার কর হিসেবে পেয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ  বৃহস্পতিবারের মুদ্রা বিনিময় হার

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন