রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিনিয়তই বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিধি

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নানামুখী ব্যবহার আর সহজলভ্যতা গ্রামীণ জনজীবনকে অনেক সহজ করেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু আর্থিক লেনদেনই নয়, প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নানান ধরনের নতুন নতুন সেবাসমূহ। প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক ও লেনদেনের পরিমাণ। এ সেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই বাস ও ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসেও বেড়েছে গ্রাহক সংখ্যা ও লেনদেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে ১৬টি ব্যাংক। এর নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা ৭ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার, যা এপ্রিলে ছিল ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮২ হাজার। অর্থাৎ এক মাসে গ্রাহক বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে শহর কিংবা গ্রামে, গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। ফলে প্রতিদিনই গ্রাহকের সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত মে মাসে প্রতিদিন গড়ে ৭৪ লাখ ৬৩ হাজার লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৩৬২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আদান-প্রদান হয়েছে। মে মাসে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে ২০.৮ শতাংশ বেশি।

২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

আরও পড়ুনঃ  নওগাঁয় কিস্তির চাপে দিশেহারা গ্রাহকেরা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টে দিনে পাঁচবারে ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন বা জমা করতে পারবেন। আর মাসে ২৫ বারে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ক্যাশ ইন করা যায়। মে মাস থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। আগে প্রতিদিন দুবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা জমা করতে পারত একজন গ্রাহক। আর মাসে ২০ বারে এক লাখ টাকা ক্যাশ ইন করতে পারত গ্রাহক।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এ সুবিধা বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবামূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো, রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন অন্যতম একটি পছন্দের মাধ্যম।

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন