শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মের চাপে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি

নিয়মের চাপে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে প্রায় ৯২ শতাংশ। গত নভেম্বর মাসে মাত্র ৩২০ কোটি টাকা নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে প্রায় ৭৩ শতাংশ।

মুনাফায় উৎসে কর বৃদ্ধি, অপ্রদর্শিত অর্থ ক্রয় প্রতিরোধ এবং টিআইএন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করাসহ নানা রকম নিয়মের চাপে সাধারণ মানুষ সঞ্চয়পত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এ কারণেই প্রতি মাসে ক্রমাগত ভাবে কমছে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমান। চলতি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।

সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। ক্রেতাদের সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন করতে হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা ঠেকাতে ক্রেতাদের তথ্যের ডাটাবেইস সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। যেকারণে চাইলেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ থাকছে না। বর্তমানে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য দরকার হবে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে  দরকার হবে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এসব নিয়মের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে যাচ্ছে বলে ধারণা অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়ম-কানুন কড়াকড়ি করায় সঞ্চয়পত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে টিআইএন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করায় অনেকে সঞ্চয়পত্রে আগের মতো বিনিয়োগ করছে না। এ ছাড়া উৎসে কর বৃদ্ধির কারণেও মানুষ বিনিয়োগে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। সব মিলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে।

আরও পড়ুনঃ  প্রথম ৮ মাসে পোল্যান্ডে ১৩.৩% কয়লা উত্তোলন হ্রাস

 আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন