শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তিতে চাষি বিপাকে ক্রেতা

দিনাজপুর ধানের দরে-

দিনাজুপরে ধানের বাজার দর ভালো হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চাষিরা। তবে চালের উচ্চমূল্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ধান চাষিদের মুখে হাসি ফুটলেও চাল ক্রেতাদের মুখে শুধুই বিষন্নতা। নতুন চালের বাজারে অস্বস্তি বিরাজ করছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা। ৫০ কেজির এক বস্তা চালে দর বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রতিকেজি কাটারি চালের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

চাল বিক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকরা দর বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দরে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। অপরদিকে মিল মালিকরা বাজারে ধানের দর বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নাজিরশাইল চাল কেজিতে ৬২ থেকে বেড়ে ৬৬ টাকা, বিআর-২৯ চাল ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, গুঁটি স্বর্ণা ৪২ থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫০ থেকে বেড়ে ৫৩ টাকা। এছাড়া দুই সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি সুগন্ধি কাটারি ভোগ চাল কেজি প্রতি ৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাহাদুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী রেদওয়ান বলেন, মিল মালিকরা চালের দর বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দরে চাল কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। দর বেড়ে যাওয়ায় চালের বিক্রি কিছুটা কমেছে। ক্রেতা বাবলু বলেন, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। একসঙ্গে অনেক চাল কিনে রাখা সম্ভব হয় না। ১০ থেকে ১৫ কেজি করে চাল কিনি। কয়েকদিন থেকেই চালের বাজার বেড়েই চলছে। তবে আমাদের আয়তো আর বাড়ছে না। এতে হিসেব গোড়মিল হচ্ছে। বেশি দামে চাল কিনলে অন্য পণ্য কিনতে পারছিনা। তবে মিল মালিকরা বলছেন, ভরামৌসুমে ধানের দর বাড়ার কারণ তাদের বোধগম্য নয়। ধানের দর অস্বাভাবিক হারে কেন বাড়ছে তা তারা বুঝতে পারছেন না। মিল মালিকরা মিল সচল রাখতে বাধ্য হয়ে বেশি দরে ধান কিনছেন। পাশাপাশি চাল উৎপাদনের খরচ, কর্মচারিদের বেতন, ব্যাংকের সুদ সব কিছুই হিসাবে রাখতে হয়। সব মিলে চালের দাম বেড়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  শ্রমিকের সন্ধানে চাষিদের অভিযান!

দিনাজপুরের একাধিক চালকল মালিক ধানের সঙ্গে চালের দর সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করার দাবি জানান। প্রতিবছর দিনাজপুরে চাল উৎপাদন হয় ১৪ লাখ মেট্রিক টন এবং এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন