শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনিয়োগকারীদের কর রাজস্ব ভান্ডারে নেই

ফাইন ফুডস এর অনিয়ম
  • আন্তর্জাতিক হিসাব মান লঙ্ঘন
  • বাজার মূল্যের পরিবর্তে ব্যয় মূল্যে সম্পদ প্রদর্শন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফাইন ফুডসের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে কোম্পানির নিরীক্ষক। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের কাছ নেয়া কর রাজস্ব ভান্ডারে জমা না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক জানান, গত অর্থবছরের শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের ক্ষেত্রে ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ উৎসে কর কেটে রাখে। তবে সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে (রাজস্ব ভান্ডার) জমা দেয়নি। এতে আয়কর আইন লঙ্ঘন করে কোম্পানিটি। আবার অর্থের অপব্যবহাররোধে কোম্পানিটির কর্মীদের মাসিক বেতন ও সম্মানি ১৫ হাজার টাকা বা তার বেশির ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হয়। ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনের বেশি অনেক কর্মীকে নগদে বেতন প্রদান করে। এর মাধ্যমে আয়কর আইন লঙ্ঘন করে।

ফাইন ফুডস কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেনি। কিন্তু আইন অনুযায়ী প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরণ করার বিধান রয়েছে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ক্যাপিটাল স্টক হিসেবে আন্তর্জাতিক হিসাব মান লঙ্ঘন করেছে জানিয়ে নিরীক্ষক জানান, তারা বাজার মূল্যের পরিবর্তে ব্যয় মূল্যে ওই সম্পদ দেখায়। যে কারণে নিরীক্ষক ওই সম্পদের পরিমাণ জানতে পারেননি।

ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি ক্যাটাগরির’ ফাইন ফুডসের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা এক কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯২০ শেয়ার। গত রবিবার কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৭ দশমিক ৬০ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভ এক কোটি ১৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ মালিকানা রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ ও বাকি ৮২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

আরও পড়ুনঃ  করোনার ভয়ে ঠাঁই হয়নি হাসপাতালে, মৃত্যু হলো গাড়িতেই

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন