শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূলের বালিতে রকেট তৈরির কাঁচামাল -ড. আইনুন নিশাত

উপকূলের বালিতে রকেট তৈরির কাঁচামাল -ড. আইনুন নিশাত

দেশের সমুদ্র উপকূলীয় কালো বালিতে ইলমেনাইটসহ যেসব খনিজ পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তা প্রসেসিং করে উড়োহাজাজ ও রকেট তৈরির যন্ত্রাংশ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। দৈনিক আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক পানি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত।

পরিকল্পিতভাবে উপকূলের খনিজ বালি আহরণ করা গেলে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও অস্ত্র তৈরির যেসব কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় তার ওপর নির্ভরতা কমবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, কক্সবাজার ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত, মহেশখালী কুতুবদিয়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপে সাগরলতা মোড়ানো বিশাল বিশাল বালির পাহাড় বিদ্যমান। সেখানে ইউরেনিয়াম ছাড়াও জিরকন, মোনাজাইটসহ ১৭-২১ প্রকার খনিজ বালি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এ সব খনিজ বালিকে কালো সোনা বলা হয়ে থাকে। পরিকল্পিতভাবে এসব বালি আহরণ করা গেলে প্রযুক্তিখাতের কাঁচামাল আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।

প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত বলেন, আণবিক শক্তি কমিশন ও অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। তবে কালো বালি আহরণ করলে সমুদ্র সৈকত এবড়ো- থেবড়ো হয়ে যাবে বিধায় সরকার আর এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেনি।

ড. আইনুন নিশাত আরো বলেন, যমুনা ব্রিজের উজানে অতীব মূল্যবান খনিজ সমৃদ্ধ এক ধরনের মোটা বালির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরেনিয়াম, টাইটানিয়াম, রুবিডিয়াম, জিরকানিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, নিকেল ও জিঙ্ক। এসব বিক্রি করেও আর্থিকভাবে উপকৃত হওয়া যাবে। তিনি জানান, সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি এসব প্রসেসিং করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সরকার গ্রহণ করেনি। ড. নিশাত বলেন, আমরা নিজেরাও প্রকল্প নিয়ে এসব খনিজ সম্পদ আহরণ করতে পারি। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যা ভালো ফল বয়ে আনবে।

আরও পড়ুনঃ  ৩০ টাকা কেজির চালে স্বস্তি

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন