শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৈকতের বালি ছেঁকে মণি-মুক্তা

সৈকতের বালি ছেঁকে মণি-মুক্তা
  • সাগরে মিলেছে ১৭ ধরনের খনিজ বালি
  • পারমাণবিক চুল্লিতে ব্যবহারের মৌলের উপস্থিতি
  • প্রতিবছর জমছে আড়াই কোটি টন খনিজ কণিকা
  • উত্তোলন হতে পারে ১০ লাখ টন খনিজ বালি

বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল জলরাশির ভেতরেই লুকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরের তলদেশে যে খনিজ সম্পদ আছে তা পৃথিবীর অন্য কোনো সাগর, মহাসাগর কিংবা উপসাগরে নেই। মণি, মুক্তা, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ থাকার কারণেই প্রাচীন ভারতবর্ষের পৌরাণিকে বঙ্গোপসাগরের নাম দেয়া হয়েছিল ‘রত্নাকাগার’। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির মহাবিপ্লবে রত্নাকাগারের রত্নভাণ্ডার আজ বিশ্ববাসীর সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। স্থলভাগের সম্পদে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অপার এ সম্ভাবনার দরজা খুলে যাচ্ছে দিন দিন।

বঙ্গোপসাগরের তলদেশে যে খনিজ সম্পদ রয়েছে বিশ্বের অন্য কোনো সাগর, মহাসাগর কিংবা উপসাগরে তা নেই।

মণি, মুক্তা, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ থাকার কারণেই প্রাচীন ভারতবর্ষের পৌরাণিকে বঙ্গোপসাগরের নাম দেয়া হয়েছিল ‘রত্নাকাগার’।

বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল জলরাশির ভেতরেই লুকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা। বঙ্গোপসাগরের তলদেশে যে খনিজ সম্পদ আছে তা পৃথিবীর অন্য কোনো সাগর, মহাসাগর কিংবা উপসাগরে নেই। মণি, মুক্তা, স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ থাকার কারণেই প্রাচীন ভারতবর্ষের পৌরাণিকে বঙ্গোপসাগরের নাম দেয়া হয়েছিল ‘রত্নাকাগার’। বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির মহাবিপ্লবে রত্নাকাগারের রত্নভাণ্ডার আজ বিশ্ববাসীর সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। স্থলভাগের সম্পদে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অপার এ সম্ভাবনার দরজা খুলে যাচ্ছে দিন দিন।

তবে বঙ্গোপসাগরের ব্লু ইকোনমি বা অর্থনীতির সম্ভাবনার অন্য আরেক দরজা খুলে দিয়েছে সৈকত বালু। কক্সবাজার, মহেশখালী, পটুয়াখালীসহ সাগর তীরের বালুতে মিলছে মূল্যবান সব খনিজ সম্পদ। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৭ ধরনের খনিজ বালি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় জিরকন, রুটাইল, সিলিমানাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গ্যানেট, কায়ানাইট, মোনাজাইট, লিকোক্সিন। যার প্রত্যেকটি পদার্থই মূল্যবান। তবে মোনাজাইট অতিমূল্যবান। এমনকি এখানে পাওয়া তেজষ্ক্রিয় পদার্থ পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ও পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। জিরকন ইউরেনিয়াম জ্বালানিতে ব্যবহার হয়ে থাকে।

এক কেজি কয়লায় যেখানে ৮ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় সেখানে এক কেজি ইউরেনিয়াম (ইউরেনিয়াম-২৩৫) থেকে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তেল বা কয়লার চেয়ে ইউরেনিয়াম-২৩৫ এর শক্তি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ গুণ বেশি। উপকূলের বালিতে পাওয়া এসব মহামূল্যবান সম্পদ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মহাবিপ্লব ঘটাতে পারে। গবেষকরা বলছেন, প্রতিবছর প্রাকৃতিকভাবে কক্সবাজারের সাগর তীরের বালিতে ২১ মিলিয়ন টন এবং ব্রহ্মপুত্র নদের বেসিনে পাঁচ মিলিয়ন টন মূল্যবান ভারী খনিজ কণিকা জমা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এসব ভারী খনিজের চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে। এসবের বড় বাজার গড়ে উঠছে চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, সৌদি-আরব ও আরব-আমিরাতে।

আরও পড়ুনঃ  ডেল্টা লাইফে প্রশাসক থাকতে বাধা নেই

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের (জিএসবি) পাশাপাশি কয়েক দশক আগে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের কক্সবাজারে স্থাপিত ‘সৈকত বালি আহরণ কেন্দ্র’ নামের প্রতিষ্ঠান সাগরের বালি নিয়ে গবেষণা, অনুসন্ধান আর সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের পরিকল্পনায় এসব সমীক্ষা থেকে সবচেয়ে দামি ও মূল্যবান ভারী ধাতুর সন্ধান মিলছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, স্বাধীনতার আগে ১৯৬১ সালে পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় মোনাজাইটের মতো তেজষ্ক্রিয় মণিকের অনুসন্ধান শুরু করে। একই বছরে কয়েকটি মূল্যবান ভারী মণিকের মজুদও চিহ্নিত হয়। তৎকালীন আণবিক শক্তি কমিশনের ভূতত্ত্ববিদরা এরপর ১৯৬৭ সালে এসে অধিক অনুসন্ধান চালিয়ে সৈকতের বালিতে অর্থনৈতিকভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভারী মাণিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।

১৯৬৯ সাল পর্যন্ত জরিপে প্রমাণিত হয়, গোটা উপকূল বরাবর বিশেষ করে কক্সবাজার থেকে বদরমোকাম, মহেশখালি, কুতুবদিয়া ও মাতারবাড়ি দ্বীপসমূহে ভারী মাণিকের সম্ভাবনাময় মজুদ রয়েছে। মূল্যবান এসব খনিজের রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়ন ও বাণিজ্যিকীকরণের লক্ষ্যে এরপর ১৯৬৮ সালের গোড়ার দিকে আণবিক শক্তি কমিশন কক্সবাজারে ‘সৈকত বালি আহরণ কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করে। যার মূল কাজই হচ্ছে ভারী খনিজ নিয়ে গবেষণা। সেই সঙ্গে আহরিত খনিজের বহুমুখী বাণিজ্যিকীকরণের উপায় উদ্ভাবন করা।

এরপর একাত্তরের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে ভারী মাণিক মজুতের নমুনা সংগ্রহ, বাছাই ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা নির্ধারণের জন্য অস্ট্রেলীয় সরকারের সহযোগিতায় কক্সবাজারের কলাতলিতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যেখানে ভারী মণিক পৃথক করতে অস্ট্রেলিয়ার খনিজ উন্নয়ন গবেষণাগারের ব্যবহৃত একটি ফ্লো শিট নেয়া হয়। এর কয়েক দশক পরে ১৯৮৫ সাল নাগাদ সৈকতে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে মানচিত্রায়ণের জন্য প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখা জরিপ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে আজ

সেই জরিপে দেখা যায়, সৈকতের খনিজ সম্পদ মজুদ প্রধানত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সৈকত বরাবর কেন্দ্রীভূত। দেশের উপকূলভাগ বরাবর এ পর্যন্ত পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে কয়েকটি ভারী মাণিক প্লেসারের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে আপাতত ১৭টি প্লেসার মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সমুদ্র সৈকত ও অদূরবর্তী উপকূলীয় দ্বীপসমূহে অবস্থিত। আরও সুনির্দিষ্টভাবে কক্সবাজার- টেকনাফ সাগর সৈকতে সাতটি (কক্সবাজার, ইনানী, শিলখালি, টেকনাফ, সাবরাং ও বদর মোকাম), মহেশখালি দ্বীপে সাতটি এবং মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়া, নিঝুমদ্বীপ ও কুয়াকাটায় একটি করে। এই ১৭টি অবক্ষেপে মোট মজুদ বালির পরিমাণ দুই কোটি ৫০ লাখ টন। ধারণ করা ভারী মাণিকের পরিমাণ ৪৪ লাখ টন (আপেক্ষিক গুরুত্ব ২ দশমিক ৯)। এর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভারী মাণিকের সংখ্যা ৮টি। এগুলো হলো- ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, জিরকন, রুটাইল, গারনেট, লিউককসেন, কায়ানাইট ও মোনাজাইট।

১৭টি অবক্ষেপে আট ধরনের ভারী মাণিকের মোট মজুতের পরিমাণ ১৭ লাখ ৬১ হাজার টন। শিল্পে ব্যবহারের জন্য এর মধ্যে রয়েছে জিরকন। মোট প্রাপ্ত জিরকনের প্রায় ৬০ ভাগ পারমাণবিক বিদ্যুৎ ও ঢালাই কাজে ব্যবহৃত হয়। আর ১৫ ভাগ ব্যবহার হয় জিরকোনিয়াম ধাতু, মিশ্রধাতু ও রাসায়নিক উৎপাদনে। তাপরোধকারী বস্তু ও কাঁচ তৈরিতে জিরকনের বহুল ব্যবহার রয়েছে। রুটাইল রঞ্জকশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রায় ৬৬ ভাগ রুটাইল শিল্পে ব্যবহৃত হয়। আর ১৮ ভাগ ব্যবহৃত হয় রডের আস্তরণ ঝালাইয়ের কাজে। ইলমেনাইট শ্বেতরঞ্জক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ম্যাগনেটাইট পিগ লৌহের উৎস হিসেবে ব্যবহার হয়। মোনাজাইট বিরল তেজষ্ক্রিয় মাণিক ও থোরিয়ামের একটি উৎস। কায়ানাইট অ্যালুমিনিয়ামের উৎস হিসেবে বিবেচিত। তাপরোধকবস্তু ও ঢালাই কাজে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের হিসাবে দেশের সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ১০ লাখ টন খনিজ বালু উত্তোলন করা যেতে পারে। এছাড়াও সাগরের তলদেশে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ নডিউল, ফসফরাস ডেপোজিট, পলিমেটালিক সালফাইড, অ্যাডাপোরাইট, ক্লেসার ডেপোজিট নামক আকরিক। এইসব আকরিক পরিশোধনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে মলিবডেনাম, কোবাল্ট, কপার, জিঙ্ক, লেডসহ ইত্যাদি দুর্লভ ধাতু। এসব ধাতু জাহাজ নির্মাণ ও রাসায়নিক কারখানায় ব্যবহার করা যাবে।

আরও পড়ুনঃ  বিদেশযাত্রার খরচ বাড়াবে বীমা ফি

বাংলাদেশ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী অগভীর সমুদ্রের তলদেশে ভ্যানাডিয়াম, প্লাটিনাম, কোবাল্ট, মলিবডেনাম, ম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট, তামা, সিসা, জিঙ্ক এবং কিছু পরিমাণ সোনা ও রূপা দিয়ে গঠিত সালফাইডের অস্তিত্ব রয়েছে। এক হাজার ৪০০ থেকে তিন হাজার ৭০০ মিটার গভীরে এসব মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের প্রায় ৩০ থেকে ৮০ মিটার গভীরে সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ‘ক্লে’র সন্ধান পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের (জিএসবি) পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মো. আলী আকবর আনন্দবাজারকে বলেন, এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের উওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা পাওয়াতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এতে জিএসবির কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল সায়েন্সডাইরেক্ট ডটকম-এ (গ্রাউন্ড ওয়াটার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টর মুখপত্র) ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারিতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে কক্সবাজারের ভূ-গর্ভস্থ মাটিতে থাকা জিরকন ও মোনাজাইটে ৯৯০ পিপিএম মাত্রারও বেশি ইউরেনিয়াম থাকার তথ্য প্রকাশিত হয়। ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর, ভূ-রসায়নবিদ ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একদল গবেষক কক্সবাজারের ভূ-গর্ভস্থ মাটি ও পানির নমুনা সংগ্রহ করে জাপানে পরীক্ষার পর এ ফল পেয়েছেন।

গবেষণার ফল অনুযায়ী, কক্সবাজারের ভূ-গর্ভস্থ মাটিতে থাকা জিরকন ও মোনাজাইটে ৮৫০ দশমিক ৭ পিপিএম থেকে ৯৯০ দশমিক ৬ পিপিএম মাত্রার ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। সারাবিশ্বে ভিন্ন মাত্রার ইউরেনিয়াম ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতিতে পাওয়া ইউরেনিয়াম পারমাণবিক চুল্লিতে সমৃদ্ধ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতিতে পাওয়া ইউরেনিয়ামকে শূন্য দশমিক ৭ ভাগ থেকে ৩ দশমিক ৭ ভাগ পর্যন্ত এবং ৩ দশমিক ৭ থেকে ৫ ভাগ মাত্রায় সমৃদ্ধ করা হয়। তবে ২০ ভাগ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামকে বলা হয় উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম (এইচআরইউ)। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রচুর পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দরকার। আর সেই ইউরেনিয়ামের যোগান দেশ থেকে আসতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন