নিউজিল্যান্ডে ফাইজার-বায়োএনটেক (এমআরএনএ) ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কোভিড-১৯ এর এই ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ফাইজারের ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এক নারীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। ওই নারীর বয়স উল্লেখ করা হয়নি। দেশটিতে ভাইরাসমুক্ত হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর এই খবর এল। বর্তমানে দেশটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাইজার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এটি নিউজিল্যান্ডে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
ভ্যাকসিন মনিটরিং প্যানেল এই মৃত্যুর জন্য মায়োকার্ডাইটিসকে দায়ী করেছে। কিন্তু ফাইজার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে তা বিরল। তবে এর যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তা অজানা নয়।
মায়োকার্ডাইটিস হৃৎপিণ্ডে রক্ত পাম্প করার জন্য অঙ্গের ক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে এবং হৃদস্পন্দনের ছন্দে পরিবর্তন আনতে পারে।
ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মায়োকার্ডাইটিসের রিপোর্ট ফাইজার ক্ষেত্রে খুবই দুর্লভ। এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা না। এমন ঘটনাকে ফাইজার খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে। তারা এই ধরনের সমস্ত ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং বিশ্বব্যাপী প্রাসঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, একই সময়ে অন্যান্য চিকিৎসা সমস্যার কারণে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর রোগীর শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে ভ্যাকসিনের উপকারিতা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি প্রমাণিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ন্ত্রকরা বলছে, ফাইজার, মডার্না ভ্যাকসিন হৃদস্পন্দনে প্রভাব ফেলার ঘটনা দুর্লভ।
এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত ৯ জুলাই দাবি করে, পাঁচ ব্যক্তি ফাইজার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মারা গেছে। এরইমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০ কোটি মানুষকে ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে ফাইজার/বায়োএনটেক, জনসন ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। সোমবার দেশটিতে ৫৩ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে। দেশজুড়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় দেওয়া হয়েছে লকডাউন ও প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ।
আনন্দবাজার/শহক