শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে শুটকি তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা

কক্সবাজারে শীতের শুরুতেই পুরোদমে চলছে শুটকি তৈরি। ছুরি, লইট্টা, সুরমা, সুন্দরী, রূপচাঁদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুটকি তৈরিতে ব্যস্ত শুটকি মহালগুলোর শ্রমিকেরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, মেকানিক্যাল ফিশ ড্রায়ার ও প্রচলিত পদ্ধতিতে শুকানো এই শুটকি মানসম্মত হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই সাথে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, সাগর থেকে ট্রলারে আনা ছুরি, কোরাল, সুরমা, লইট্ট্যাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ধুয়ে বাঁশের মাচায় বা খুঁটিতে রোদে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। ৩-৭ দিনের মধ্যে এসকল মাছ শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুটকি। শুটকি তৈরির কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২০ হাজার নারী ও পুরুষের।

শ্রমিকরা জানান, মাছ শুঁকিয়ে শুটকি বানিয়ে আমরা সেগুলো চট্টগ্রামে পাঠাই। মেকানিক্যাল ফিশ ড্রায়ার ও প্রচলিত পদ্ধতিতে শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে শুটকি। যা নিরাপদ ও মানসম্মত হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা আছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা বলেন, সরকারি সহায়তা পেলে শতভাগ মানসম্মত শুটকি বিদেশে আরও বেশি রফতানি সম্ভব।

কক্সবাজারের নাজিরারটেক মৎস্য ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির অর্থ সম্পাদক আতাউর রহমান কায়সার জানান, চলতি বছর আমরা ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টন শুটকি রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।

উল্লেখ্য, গত বছর নাজিরারটেকে উৎপাদন হয় ১ লাক ৩০ হাজার মেট্রিক টন শুটকি। এবার লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

আরও পড়ুনঃ  'সরকারের উন্নয়ন কাজকে অস্বীকার করা মানে দলকে অস্বীকার করা'

সংবাদটি শেয়ার করুন