শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার মধ্যেও মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

করোনার প্রভাবে গত মার্চের পর থেকে উৎপাদন, আমদানি, রফতানি থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। কিন্তু দেশে লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামলেও ব্যতিক্রম ছিল মোংলা সমুদ্রবন্দর। লকডাউনের সময়ও বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু ছিল। এর কারণে এ সময় রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বেড়েছে। সবমিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯১ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১১৫ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও আগের অর্থবছরের তুলনায় মুনাফা কমেছে ১৮ কোটি টাকা।

তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ বন্দরে ৯১২টি দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আসে। হ্যান্ডলিং হয় ১ কোটি ১৩ লাখ টন বাল্ক কার্গো ও ৫৭ হাজার ৭৩২টি ইউজ কনটেইনার জাতপণ্য। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯০৩টি বাণিজ্যিক জাহাজের বিপরীতে হ্যান্ডলিং হয় ১ কোটি ১০ লাখ টন পণ্য। একই সাথে ৫৯ হাজার ৪৫৭টি ইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।

অপরদিকে আমদানি-রফতানি খাতের পণ্য হ্যান্ডলিং করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ৩২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি, সংস্কার ও উন্নয়নকাজে ২০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর কারণে এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের মুনাফা হয় ১১৫ কোটি টাকার বেশি। যেখানে এ সময় মুনাফার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩২৯ কোটি ১২ লাখ টাকা আয় হয়। এ সময়ে ব্যয় হয় ১৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এ অর্থবছরে মুনাফা ছিল ১৩৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ  আখের রস বিক্রির ধুম

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলে বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা কিছুটা কম হলেও মে ও জুনে সেই সংখ্যা বেড়ে যায়। যে কারণে রাজস্ব আয়ও বাড়ে। ফলে করোনার মধ্যেও রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয় দেশের দ্বিতীয় এ সমুদ্রবন্দরটি। বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক নির্দেশনা মেনে চলায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন