করোনার প্রভাবে গত মার্চের পর থেকে উৎপাদন, আমদানি, রফতানি থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত এক ধরনের স্থবিরতা নেমে আসে। কিন্তু দেশে লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামলেও ব্যতিক্রম ছিল মোংলা সমুদ্রবন্দর। লকডাউনের সময়ও বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু ছিল। এর কারণে এ সময় রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বেড়েছে। সবমিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯১ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১১৫ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও আগের অর্থবছরের তুলনায় মুনাফা কমেছে ১৮ কোটি টাকা।
তথ্য অনুসারে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ বন্দরে ৯১২টি দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ আসে। হ্যান্ডলিং হয় ১ কোটি ১৩ লাখ টন বাল্ক কার্গো ও ৫৭ হাজার ৭৩২টি ইউজ কনটেইনার জাতপণ্য। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯০৩টি বাণিজ্যিক জাহাজের বিপরীতে হ্যান্ডলিং হয় ১ কোটি ১০ লাখ টন পণ্য। একই সাথে ৫৯ হাজার ৪৫৭টি ইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
অপরদিকে আমদানি-রফতানি খাতের পণ্য হ্যান্ডলিং করে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় হয়েছে ৩২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি, সংস্কার ও উন্নয়নকাজে ২০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর কারণে এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের মুনাফা হয় ১১৫ কোটি টাকার বেশি। যেখানে এ সময় মুনাফার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩২৯ কোটি ১২ লাখ টাকা আয় হয়। এ সময়ে ব্যয় হয় ১৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। সে হিসাবে এ অর্থবছরে মুনাফা ছিল ১৩৩ কোটি টাকা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলে বন্দরে জাহাজ আসার সংখ্যা কিছুটা কম হলেও মে ও জুনে সেই সংখ্যা বেড়ে যায়। যে কারণে রাজস্ব আয়ও বাড়ে। ফলে করোনার মধ্যেও রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয় দেশের দ্বিতীয় এ সমুদ্রবন্দরটি। বন্দর ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক নির্দেশনা মেনে চলায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
আনন্দবাজার/এফআইবি