তেল রফতানির তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। তেহরান মিত্র দেশগুলোয় নামে-বেনামে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানির যে তথ্য প্রকাশ করে, বাস্তবে তার চেয়েও বেশি জ্বালানি তেল রফতানি করছে দেশটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেন। এরপর সর্বপ্রথম ট্যাংকারট্যাকার্সডটকম নামের একটি ওয়েবসাইট ইরানের জ্বালানি তেল রফতানি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ইরান থেকে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকারগুলো নিয়মিত অপ্রকাশিত গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছে। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মাঝেও জ্বালানি তেল রফতানি অব্যাহত রেখেছে তেহরান।
পরবর্তী সময়ে ইরান সরকার জানায়, প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ২৭ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করা হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের এক প্রতিবেদনেও এ সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ইরানের জ্বালানি তেল খাতের বিবেচনায় রফতানির এ পরিমাণ খুবই সামান্য।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকাশিত তথ্যের চেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রফতানি করছে ইরান। এর দৈনিক গড় পরিমাণ ছয় লাখ ব্যারেলের বেশি। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি তেল রফতানির তথ্য গোপন করছে দেশটি। যদিও ইরান থেকে রফতানি হওয়া অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গন্তব্য নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি সংবাদ মাধ্যমটি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস