ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১১ জুলাই। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ মাস পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি এখনও শূন্যই রয়েছে। তবে কবে পূরণ হবে সে ব্যাপারেও কিছুই বলতে পারছে না প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন), কোষাধ্যক্ষ এই চারটি প্রধান পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি নিয়োগ পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট অথবা গণিত বিভাগের শিক্ষকরা হয়ে থাকেন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন- এসব স্থান থেকে ‘পছন্দমতো’ ব্যক্তি না থাকায় এই পদে নিয়োগ দিতে দেরি হচ্ছে।
এক সূত্রে জানা যায়, এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদ পেতে যেসব শিক্ষকরা আগ্রহী এবং দৌড়ঝাঁপ করছেন তাদের প্রায় সকলেই কোনো না কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত। এদের কেউ গবেষণা জালিয়াতি, নিম্নমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি, বিভিন্ন অভিযোগে পূর্বে বিতর্কিত ও বিরোধী দলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অনেক অভিযোগ রয়েছে।
গেল মাসে কোষাধ্যক্ষ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট প্রো-উপাচার্য প্রশাসনকে উপস্থাপন করতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে রুটিন ওয়ার্কও প্রো-উপাচার্য প্রশাসনের পালন করতে হচ্ছে। এছাড়া গত একমাস ধরে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ না হওয়ায় নিয়োগপ্রার্থী শিক্ষকরা একে অপরের বিপক্ষে অভিযোগ আনছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের প্রভাবশালী শিক্ষকরা তাদের সিন্ডিকেটের কাউকে কোষাধ্যক্ষ পদে বসানোর বেশ লড়াই করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র।
কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে জানতে চাইলে এই ব্যাপারে বর্তমানে কোষাধ্যক্ষের রুটিন দায়িত্ব পালন করা প্রো-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন এবং তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে দায়িত্ব দিতে পারেন। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এখানে কে নিয়োগ পাবে সে ব্যাপারে আমার কোনো এখতিয়ার নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক উপাচার্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে