শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ বছরের ধস কাটিয়ে উঠেছে ইউরোপের গম রফতানি 

টানা চার বছর ইউরোপীয় দেশগুলোর গম রফতানি খাতে মন্দা ভাব থাকলেও ২০১৯ সালে  বদলেছে সে অবস্থা। আগের বছরের তুলনায় এই কৃষিপণ্যটির রফতানি বেড়েছে  ৩৭ শতাংশেরও বেশি । তবে করোনার কারণে রফতানি খাতে বড় ধাক্কা খাওয়ার পরও চলতি বছরেও ইইউর গম রফতানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। 

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস সম্প্রতি ইউরোপের দেশগুলোর শস্য রফতানির গতিবিধি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ব্রিটেনসহ ইইউভুক্ত দেশগুলোর ইতিহাসে ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি গম রফতানি হয়। সেবছর এসব দেশ সম্মিলিতভাবে মোট ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার টন গম রফতানি করেছিল। এরপর থেকে ইইউর গম রফতানিতে ধারাবাহিক মন্দা ভাব শুরু হয়।

২০১৫ বছর ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে গম রফতানি ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টনে এসে দাড়ায়। পরের বছরগুলোতে ইইউর গম রফতানির সম্মিলিত পরিমাণ ৩ কোটি টনের নিচে নেমে আসে। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এসব দেশ থেকে যথাক্রমে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩৯ হাজার টন ও ২ কোটি ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার টন গম রফতানি হয়েছে। ২০১৬ সালে ইইউর গম রফতানি আগের বছরের তুলনায় কমে গেছে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ২০১৭ সালে ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

পরের বছর ইইউভুক্ত দেশগুলো থেকে কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত রফতানি আগের বছরের তুলনায় আরো দশমিক ৩১ শতাংশ কমে গিয়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার টনে নেমে আসে বলে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ।

আরও পড়ুনঃ  আফগানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে নিহত ৫১ জঙ্গি

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, টানা চার বছরের মন্দা ভাব কাটিয়ে গত বছর ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইইউর গম রফতানি খাত। এ সময় জোটভুক্ত দেশগুলো সব মিলিয়ে ৩ কোটি ২০ লাখ টনের কিছুটা বেশি গম রফতানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে চলতি বছর ৩ কোটি ২৫ লাখ টনের কাছাকাছি গম রফতানি করতে পারে এসব দেশ। সূত্র: ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম ও এগ্রিমানি

আনন্দবাজার/তা.তা

সংবাদটি শেয়ার করুন