শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা সংকটেও বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

করোনা সংকটময় পরিস্থিতিতেও স্বস্তিতে আছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ তিন হাজার ৩০০ কোটি (৩৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১ দশমকি ৬৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু করোনার সংকটময় সময়ের মধ্যেও চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল এ রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে ২০১৭ সালের জুনে সর্বোচ্চ তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলার রিজার্ভ অতিক্রম করেছিল। এরপর দীর্ঘদিন ৩১ থেকে ৩২ বিলিয়ন ডলারে ওঠানামা করেছে রিজার্ভ।

তবে বেসরকারি পর্যায়ে বৈদেশিক মুদ্রার ঋণের দায় ও এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় শোধ করলে এ রিজার্ভ আবারও কমে যাবে বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ- এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে। বাংলাদেশ সর্বশেষ গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের আকুর বিল (প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার) পরিশোধ করেছে। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্চ ও এপ্রিল মেয়াদের আকুর বিল পরিশোধ করতে হবে। এটি পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবারও কমে যাবে।

আরও পড়ুনঃ  এবারও ৩৬.২৫ লাখ পরিবার সরকারের নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছে 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১২০ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। গত বছর একই সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।

 

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন