ঢাকা | সোমবার
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবারও ৩৬.২৫ লাখ পরিবার সরকারের নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছে 

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত বছরের লকডাউনে যেসব দরিদ্র পরিবার ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’ হিসেবে সরকারের কাছ থেকে ২৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা পেয়েছিল, এবার ঈদের আগেও তারা একই পরিমাণ অর্থ পাবে।

এ তালিকার বাইরে থাকা দরিদ্রদের থোক বরাদ্দ থেকে নগদ সহায়তা দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এছাড়া, চলমান লকডাউনে ১.২৫ কোটি পরিবারকে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

দ্বিতীয় দফা লকডাউনের সময়ে তালিকাভুক্ত ৩৬ লাখ দরিদ্র পরিবারকে নগদ সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর মাধ্যমে উপকারভোগীদের কাছে টাকা পাঠানো হবে। এতে সরকারের ৮১১ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন,  এবারও ঈদ-উল-ফিতরের আগে এসব পরিবারকে ২৫০০ টাকা নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা প্রস্তাবনা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে গতবারের মতোই বিকাশ, রকেট, নগদ ও শিউরক্যাশের মাধ্যমে ঈদের আগেই উপকারভোগীদের কাছে তা পাঠানো হবে’, যোগ করেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরও জানান, প্রথম দফা লকডাউনে দরিদ্র ও কর্মহীন হওয়া সবাই এ তালিকায় নেই। চলমান দ্বিতীয় দফা লকডাউনে আরও অনেক দরিদ্র পরিবার হয়তো নতুন করে সংকটে পড়বে। এ ধরণের পরিবারের তালিকা করে তাদেরকে সহায়তা করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তারা জানান, প্রতিটি জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বাজেটে থোক বরাদ্দ রয়েছে। সেই থোক বরাদ্দ থেকে নতুন করে তালিকাভুক্ত দরিদ্রদের সহায়তা দিতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অন্তর্ভূক্ত করতে ওই আগের বছরের ৩৬ লাখের সঙ্গে নতুনদের তথ্যও সংরক্ষণ করবে সরকার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর লকডাউনে ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ ২৫০০ টাকা করে সহায়তা দেওয়ার জন্য ১২৫৮ কোটি টাকার বরাদ্দ করে সরকার। এর মধ্যে ৩৬,২৫,২৬৮ জনের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে ৮১১ কোটি টাকা পাঠানো হলেও ৪,০২,১৩৬ জনের একাউন্টের পিন ইনএ্যাকটিভ থাকায় তারা এ টাকা তুলতে পারেনি। তাদের কাছে পাঠানো নগদ অর্থের পরিমাণ ১০১.১৪ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন