শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাপাসিয়ায় আরো ২ করোনা রোগী শনাক্ত

গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় গত শনিবার (১১ এপ্রিল) করোনা ভাইরাসে ( কোভিট-১৯) আক্রান্ত আরো ২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রথম জন উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের। তার আনুমানিক বয়স ৩১ বছর। এদিকে আক্রান্ত ওই যুবক নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করতো।

বারিষাব ইউনিয়নের ভেড়ার চালা গ্রামের অপরজন গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসে নৈশ প্রহরীর কাজে কর্মরত। শনিবার আক্রান্ত ওই দুই ব্যক্তির বাড়িসহ আশ-পাশের কয়েক বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সালাম সরকার ‘দৈনিক আনন্দবাজার’কে জানান, উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মহসিন নামের এক যুবক নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকা থেকে গত ৮ এপ্রিল তার নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসে।

এদিকে আক্রান্ত যুবক জ¦র ও ঠান্ডা, কাশিসহ করোনা ভাইরাসের উপসর্গে ভোগছিলেন বলে জানতে পেরে তার বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এদিকে গত শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে আমরা তার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ পাই। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কড়িহাতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম মোড়ল জানান, আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়ি ইতোমধ্যেই লকডাউন করা হয়েছে। এবং তার বাড়ির আশ-পাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল নিশান টানানো হয়েছে।
অপর দিকে, গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিসে নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত বারিষাব ইউনিয়নের ভেড়ার চালা গ্রামের এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তিনি গাজীপুরে বসবাস করলেও নিয়মিত কাপাসিয়ায় যাতায়াত ছিলো।

আরও পড়ুনঃ  মরিচ্চাপে পলি অপসারণে ব্যয় ৩০ কোটি

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারিষাব ইউপি চেয়ারম্যান আতাউজ্জামান বাবলু জানান, আমার ইউনিয়নের যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, ইতোমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদেশে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশ-পাশের আরো কয়েক বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে এবং সতর্কতার জন্য বাড়িতে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাছাড়া গত শুক্রবার (১০ এপ্রিল) কাপাসিয়ার দস্যু নারায়নপুরে ছোঁয়া এগ্রো ফিড লিমিটেড কারখানার সুপার ভাইজারের দেহে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর শনিবারে ওই কারখানার ৭৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ কে জানান, আক্রান্ত যুবকের বাড়িসহ আশ-পাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িটিতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। সেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে নিজ নিজ ঘরে থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনকে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন