ঢাকা লকডাউনের মতোই। কোথাও কারো দেখা নেই। ব্যস্ত রাজধানীর এমন ছবি আগে কেউ দেখেনি। বাসা থেকে মানুষ বের হচ্ছে না। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। এই নগরীতে মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণীর বসবাস। রাস্তার কুকুরের কথাই ধরা যাক। অনাহারেই কাটছে দিন অসহায় এসব প্রাণীর। মানুষের ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট খেয়েই এদের জীবন বাঁচে। সেসব কুকুর এখন কী খাচ্ছে?
সঙ্গে আছি- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভাবছে অনাহারী এসব প্রাণীদের নিয়ে। এই প্রাণীরা তো করোনা বোঝে না। ক্ষুধায় ক্লান্ত শরীর টেনে নিয়ে পথে পথে ঘুরছে। যদি কোথাও সামান্য খাবার মেলে! না পেলে একটা সময় শুয়ে পড়ছে পথের ধারে। পথের কুকুর খুঁজে খাবার দিচ্ছে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী মো. জসিম উদ্দিন খান, বারেক কায়সার, আসিফ শওকত কল্লোল ও তাকী জোবায়ের।
সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, মানুষের ক্ষুধা লাগলে চাইতে পারে। আর এসব প্রাণী চাইতেও পারে না। ভালো লাগছে রাস্তার কুকুরকে খাওয়াতে পেরে। আমাদের এই উদ্যোগ চলমান থাকবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বারেক কায়সার বলেন, ইতোমধ্যে ‘সঙ্গে আছি’ ১ হাজার ছিন্নমূল, দিনমজুরকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও সাবান দিয়েছে। এই উদ্যোগও চলমান থাকবে।
সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দৈনিক আনন্দবাজার সম্পাদক মো. জামাল হোসেন বলেন, এই সংকটে মানুষের পাশে আছে ‘সঙ্গে আছি’। পাশাপাশি রাস্তার অনাহারী সকল প্রাণীর প্রতিও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। সমাজের বিত্তবান, স্বচ্ছল ব্যক্তিরা যদি এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের কাজটি আরও সহজ হয়।